সাংবাদিক সম্মেলনে মহম্মদ কাইফ। ছবি সংগৃহীত।
গুরুতর অভিযোগ তুললেন মহম্মদ কাইফ। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এখন দিল্লি ক্যাপিটালসের সহকারী কোচ। তাঁর দাবি, আইপিএলের দলগুলি খেলার মধ্যে খারাপ ফিল্ডারদের তুলে নিয়ে পরিবর্ত হিসেবে ভাল ফিল্ডারদের নামাচ্ছে। কাইফ আশা করছেন, এই অনৈতিক প্রক্রিয়ার দিকে নজর রাখবেন আম্পায়ারেরা।
কাইফ বলেছেন, ‘‘এটা ঠিকই যে, সব ম্যাচ মাঝরাতে গিয়ে শেষ হচ্ছে। এটাও দেখতে পাচ্ছি, মন্থর ফিল্ডারদের তুলে নিয়ে চনমনে ফিল্ডারদের নামিয়ে দিচ্ছে অনেক দল। আমার মনে হয়, আম্পায়ারদের এ ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত। কারা কী বদল ঘটাচ্ছে, সে দিকে তাঁদের খেয়াল রাখা দরকার।’’
আজ, বৃহস্পতিবার, নিজেদের ঘরের মাঠ কোটলায় দিল্লি মুখোমুখি হচ্ছে বিধ্বংসী ফর্মে থাকা ডেভিড ওয়ার্নারের সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। তার আগে কাইফের এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে হইচই পড়ে যেতে বাধ্য।
আরও পড়ুন: বিধ্বংসী ফর্মে থাকা ওয়ার্নারদের থামাতে আজ কোন ১১ জনকে ভরসা করবেন সৌরভ?
নিজের ক্রিকেট দিনে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডার ছিলেন কাইফ। তিনি ফিল্ডারদের নিয়ে এমন অভিযোগ তোলায় আরও বেশি করে বিতর্কের ঝড় উঠতে পারে। কাইফ আঙুল তুলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ফিল্ডার পরিবর্তনের দিকেও। তিনি বলেছেন, ‘‘উদাহরণ হিসেবে বলছি, দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম কেকেআর ম্যাচে আন্দ্রে রাসেল বাইরে চলে গিয়েছিল। তার জায়গায় নামানো হল রিঙ্কু সিংহকে। এর পর পীযূষ চাওলা খুব তাড়াতাড়ি ওর চার ওভার শেষ করে নিয়ে বাইরে চলে গেল। ওর জায়গায় ফের রিঙ্কু সিংহ চলে এল ফিল্ডিং করতে।’’
যদিও শুধু কেকেআরের দিকে আঙুল তুলেই থেমে থাকছেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সারথি কাইফ। বলছেন, ‘‘পঞ্জাবের শেষ ম্যাচেও আমরা একই জিনিস দেখেছি। সরফরাজ খানের গ্লাভসে বল লাগে। তার পর ও আর ফিল্ডিং করতে মাঠেই আসেনি। আমি জানি না ও কতটা আহত ছিল। করুণ নায়ার ফিল্ডিং করল এবং লং-অনে দাঁড়িয়ে খুব ভাল একটা ক্যাচ নিল।’’ যোগ করছেন, ‘‘কয়েকটা দল এটা করছে। আমার কাছে মোটেও তা ঠিক মনে হচ্ছে না। এ ব্যাপারে আমরা আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’’
এ বারের আইপিএলে মন্থর গতিতে ওভার হওয়ার ঘটনা বার বার দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মার ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছে। ‘‘যারা পরে ফিল্ডিং করছে, তারা অনেক বেশি সময় নিয়ে ফেলছে। মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে এত পরিকল্পনার কী আছে কে জানে! আমরা যতটা সম্ভব সহজ, সরল রাখার চেষ্টা করছি। না হলে সব গুলিয়ে যেতে পারে।’’
পঞ্জাবের সঙ্গে জেতার মতো অবস্থা থেকে ম্যাচ হারে দিল্লি। কাইফ যদিও বলছেন, ‘‘এখনও অনেক খেলা বাকি। আমাদের চার পয়েন্ট রয়েছে। শেষ ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল ঠিকই। আমরা সকলে দুঃখ পেয়েছি হেরে গিয়ে। কিন্তু আগের ম্যাচের কথা ভুলে এগিয়ে যেতে হবে।’’ দুর্ধর্ষ ফর্মে থাকা ওয়ার্নার, জনি বেয়ারস্টোদের থামানোটা বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে দিল্লির সামনে।