যুগলবন্দি: ঝড় তোলা জুটি ওয়ার্নার ও বেয়ারস্টো। ফাইল চিত্র
আগামী অগস্টে হতে চলা অ্যাশেজ সিরিজে তাঁরা থাকবেন দুই প্রতিপক্ষ শিবিরে। কিন্তু সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে এই মুহূর্তে ডেভিড ওয়ার্নার এবং জনি বেয়ারস্টোর চিন্তায় আনাগোনা করছে পরের ম্যাচগুলিতে এই পারফরম্যান্স ধরে রাখা।
রবিবার বিরাট কোহালিদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ওপেনিং জুটিতে তাঁদের তোলা ১৮৫ রান সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে এনে দেয় দুর্দান্ত জয়। কিন্তু ম্যাচের পরে একে অপরের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময়ে ইংল্যান্ড তারকা বেয়ারস্টো বলে দিলেন, ওয়ার্নারকে দেখেই তিনি যেমন আগ্রাসী ক্রিকেটের প্রতি আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন, তেমনই সেঞ্চুরির পরে শূন্যে লাফ দিয়ে উৎসব পালন করাও রপ্ত করছেন। বেয়ারস্টো বলেছেন, ‘‘প্রথম দুই ম্যাচে তোমার বিধ্বংসী ব্যাটিং আমাকে এতটাই প্রভাবিত করেছিল যে, মনে হয়েছিল আমাকেও এ ধরনেরই একটা ইনিংস খেলতে হবে। সেটা হয়েও গেল।’’ আরও যোগ করেছেন, ‘‘আইপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি পেলাম। নন স্ট্রাইকিং এন্ডে তোমার মতো ক্রিকেটার তার সাক্ষী রইল। এর চেয়ে আনন্দের মুহূর্ত আর কী হতে পারে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘সেঞ্চুরি করে তোমার শূন্যে লাফ দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করার ভঙ্গিটা আমার বরাবর খুব ভাল লাগে। তাই ভেবে রেখেছিলাম, আইপিএলে সেঞ্চুরি করলে তোমার মতোই ও ভাবে লাফিয়ে উঠব। আশা করছি, এই ব্যাপারটাও রপ্ত করে ফেলব।’’
এক বছরের নির্বাসন কাটিয়ে রণংদেহি মেজাজে ফিরে আসা ওয়ার্নারও তাঁর সতীর্থকে জানিয়েছেন, আইপিএলে খেলতে আসার আগেই ঠিক করে নিয়েছিলেন, এ ভাবেই নিজেকে সকলের সামনে মেলে ধরতে চান। অস্ট্রেলীয় তারকা বলেছেন, ‘‘বারোটা মাস ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম ঠিকই, কিন্তু মাঠে ফেরার পরে কী ভাবে নিজেকে প্রমাণ করব, সেটা নিয়ে ক্রমাগত চিন্তা করে গিয়েছি।’’ আরও বলেছেন, ‘‘ওই বারোটা মাসে আমি শরীর এবং মনের দিক থেকে একশো শতাংশ তরতাজা হয়ে উঠেছিলাম। সেটা কিন্তু দারুণ কাজে লাগছে এখন। আমার বিশ্বাস, তোমার সঙ্গে চলতি আইপিএলে আরও কয়েকটা এমন ইনিংস খেলতে পারব। সেটাই আমার প্রধান লক্ষ্য।’’ রবিবার উপ্পলের তাপমাত্রা ছিল প্রায় চল্লিশ ডিগ্রির কাছাকাছি। তার সঙ্গেই ছিল সাঙ্ঘাতিক আপেক্ষিক আর্দ্রতা। বেয়ারস্টো জানিয়েছেন, শুরুর দিকে ওই আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছিল। তিনি বলেছেন, ‘‘এত গরমে খেলার খুব বেশি অভিজ্ঞতা আমার নেই। ফলে শুরুতে একটু ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। পরে মনে হল, সিঙ্গলস রান কম নিয়ে যদি বড় স্ট্রোক নিতে পারি, তা হলে কম ক্লান্ত হব। সেই ভাবনাই শেষ পর্যন্ত কাজে লেগেছে।’’ যদিও পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, রবিবারের ম্যাচে ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো জুটি ৬৪টি সিঙ্গলস রান নিয়েছেন! ওয়ার্নার আরও বলেছেন, ‘‘ডান হাতি এবং বাঁ হাতি ওপেনিং জুটি এই ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে একটু বেশি সফল হয়ে থাকে। বোলারদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।’’