দলে ফিরেই বিধ্বংসী মালিঙ্গা। একাই তুলে নিলেন কোহালিদের বিরুদ্ধে চার উইকেট। (ডানদিকে) বল হাতে সফল। সঙ্গে ১৬ বলে ৩৭ রানও হার্দিকের। এপি, এএফপি।
আগের ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে হারিয়ে জয়ের রাস্তায় ফিরেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সোমবার, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে আবার হারতে হল বিরাট কোহালির দলকে। এই নিয়ে আট ম্যাচে সাত নম্বর হার। লাসিথ মালিঙ্গা-হার্দিক পাণ্ড্যের দাপটে মুম্বই জিতল পাঁচ উইকেটে।
মুম্বইয়ে বিশ্বকাপের দল নির্বাচনী বৈঠক শেষ করে আরসিবির হয়ে মাঠে নেমেছিলেন কোহালি। যে ম্যাচে টস জিতে আরসিবিকে ফিল্ডিং করতে পাঠান মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কোহালি অবশ্য এ দিন রান পাননি। কিন্তু এবি ডিভিলিয়ার্স (৫১ বলে ৭৫) এবং মইন আলির (৩২ বলে ৫০) হাফসেঞ্চুরি আরসিবি-কে পৌঁছে দেয় সাত উইকেটে ১৭১ স্কোরে। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই স্কোর যথেষ্ট ছিল না। এই ম্যাচে আবার শ্রীলঙ্কার পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে ফিরেয়ে এনেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ফিরেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন, বিশ্বকাপের আগে কত ভাল ফর্মে আছেন। চার ওভারে ৩১ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নিলেন মালিঙ্গা। আরসিবি ইনিংসে ডিভিলিয়ার্স, মইন এবং পার্থিব পটেল (২০ বলে ২৮) ছাড়া দু’অঙ্কের রান পায়নি আর কেউ।
রান তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথম ছয় ওভারেই দুই ওপেনার তুলে দেন ৬৭ রান। কুইন্টন ডি’কক (২২ বলে ৩৯) এবং রোহিত শর্মা (১৪ বলে ২৬) শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন। আরসিবি বোলারদের কেউই ছাপ ফেলতে পারেননি। উমেশ যাদব থেকে শুরু করে সাইনি— প্রথম ছয় ওভারে সবাইকে শাসন করেছেন মুম্বইয়ের দুই ওপেনার।
কিন্তু ছবিটা বদলে যেতে থাকে মইন বোলিংয়ে আসার পরে। এক ওভারে মইনের অফস্পিনের শিকার হন মুম্বইয়ের দুই ওপেনার। অফস্টাম্পের বাইরে থেকে ঢুকে এসে মইনের অফস্পিন ছিটকে দেয় রোহিতের স্টাম্প। ওভারের চতুর্থ বলে ডি’কক ফিরে যান এলবিডব্লিউ হয়ে। শেষ পর্যন্ত হার্দিক পাণ্ড্য ১৬ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করে মুম্বইকে জিতিয়ে দিলেন। এই জয়ের ফলে আটের মধ্যে পাঁচ ম্যাচ জিতে তিন নম্বরে উঠে এল মুম্বই। কলকাতা নাইট রাইডার্স নামল চার নম্বরে। ম্যাচের পরে কোহালি বলেন, ‘‘ম্যাচটা আমরা খারাপ খেলিনি। তবে প্রথম ছ’ওভারে আমাদের বোলারেরা ৬৫ রান দিয়ে দেয়। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সব সময়ই কঠিন।’’