২০১২-তে পঞ্চম আইপিএল শেষ বার প্লে-অফে গিয়েছিল দিল্লি। এ বারের টুর্নামেন্টে প্লে-অফে উঠে বহু বিশেষজ্ঞের হিসেবই উল্টে দিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। গত ম্যাচে সানরাইজার্সকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর মেন্টর পন্থ, শ, আইয়াররা। ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট জেতার পথে এক ধাপ এগোতে কেমন দল নামাতে পারেন মেন্টর সৌরভ?
চলতি আইপিএল যত গড়িয়েছে, শিখর ধওয়নের ব্যাট তত কথা বলতে শুরু করেছে। গত ম্যাচেও একটা ভাল শুরু দিয়েছেন শিখর। তাঁরই ওপেন করার কথা আজ।
শিখর ধওয়নের সঙ্গী হিসাবে ওপেন করতে নামতে পারেন পৃথ্বী শ। গত ম্যাচে দলকে ভরসা দিয়েছেন। ৩৮ বলে ৫৬ রান করেছিলেন ওপেনার পৃথ্বী।
তিন নম্বরে অবশ্যই দেখা যাবে দিল্লি ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ারকে। এ বারের আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ৯টিতেই জিতেছে দিল্লি। অধিনায়ক হিসাবে শুধু নয়, নিজের ব্যাটিং দিয়েও তারিফ কুড়িয়েছেন শ্রেয়স। কোচ রিকি পন্টিংও বেশ পছন্দ করেন তাঁকে।
বিশ্বকাপের দলে ঠাঁই পাননি, কিন্তু প্লে অফে দলকে ভরসা দিয়েছেন তিনিই। ধোনির সঙ্গে আজকের দ্বৈরথে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ নামতে পারেন চারে। গত ম্যাচে ১৮ নম্বর ওভারের প্রথম চারটে বলে দুটো ছয়, দুটো চার মেরে ম্যাচটা ঘুরিয়ে দেন তিনিই (২১ বলে ৪৯, দুটো চার, পাঁচটা ছয়)।
সেই অর্থে দলকে ভরসা দিতে পারেননি দলকে ভরসা দিতে ব্যর্থ কলিন ইনগ্রাম। কিন্তু মারকুটে ব্যাটিংয়ে দক্ষতা রয়েছে, তাই মিডল অর্ডারে পাঁচে রাখা হতে পারে তাঁকে।
শেরফেন রাদারফোর্ড খেলতে পারেন ছয় নম্বরে।নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার ক্যামিও খেলতে অনবদ্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তারকা স্পিনারদের প্যাঁচে ফেলতে পারেন।
আজকের দিল্লি টিমে থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বাঁ-হাতি অক্ষর পটেলেরও। তাঁর ব্যাটিং ছাড়াও স্লো লেফ্ট আর্ম অর্থোডক্স বোলিংও কাজে দিতে পারে দিল্লির। সাত নম্বরে নামতে পারেন তিনি।
আট নম্বরে থাকার কথা কিমো পলের। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে কিমো গত ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ৩ উইকেট নেন। তাঁর বোলিং জয়ের একটা বড় কারণ ছিল। মাহির উইকেট নিতে তিনি অবশ্যই চাইবেন।
নয় নম্বরে নামতে পারেন ট্রেন্ট বোল্ট। আজকের ম্যাচে সুপার কিংসের জন্য বোল্ট নামক চমক অপেক্ষা করতে পারে। রায়না, ওয়াটসনদের প্যাঁচে ফেলতে কিংবা ডেথ ওভারে তাঁকে কাজে লাগাতে পারে দল।
দশ নম্বরে নামতে পারেন অমিত মিশ্র। তাঁর অভিজ্ঞতা দলের বড় ভরসা। অমিত মিশ্র ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন গত ম্যাচে। তাঁর লেগব্রেক দলের কাজে আসবেই।
১১ নম্বরে খেলতে পারেন ইশান্ত শর্মা। বিশাখাপত্তনমের পিচে ট্রেন্ট বোল্টের সঙ্গে পেস বোলিংয়ের দায়িত্ব সামলাতে দেখা যেতে পারে ইশান্তকে।