পরীক্ষা: তিন ম্যাচে জয় নেই বিরাট ও রাহানের দলের। ফাইল
আইপিএলে এখনও পর্যন্ত তারাই শুধু জয়ের মুখ দেখেনি। হারের হ্যাটট্রিকের ধাক্কা খেয়েছে। সেই দুই দল—রাজস্থান রয়্যালস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর আজ, মঙ্গলবার জয়পুরের সওয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি। একটি ভারত অধিনায়কের দল। অন্যটি ভারতীয় টেস্ট দলের সহ-অধিনায়কের। তারাই এখন টেবলে সকলের নীচে।
দু’টি দলকেই সমস্যায় জেরবার দেখাচ্ছে। রাহানের রয়্যালসের সমস্যা হচ্ছে, তারা প্রতিপক্ষকে বাগে পেয়েও ছেড়ে দিচ্ছে। কিংস ইলেভেন পঞ্জাব, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরেছে তারা। রবিবার চেন্নাইয়ে রাহানের দল বেশ ভাল জায়গা তৈরি করে ফেলেছিল শুরুতে। সিএসকে তিন উইকেটে ২৭ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে ৪৬ বলে ৭৫ করে দলকে প্রবল ভাবে ম্যাচে ফেরত আনেন ধোনি। শেষ পর্যন্ত ধোনির ব্যাটিং দাপটের দৌলতেই আট রানে জেতে চেন্নাই। রান তাড়া করার সময়েও শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২ রান। টি-টোয়েন্টিতে খুব কঠিন লক্ষ্য নয়। কিন্তু তা তুলতে পারেনি রয়্যালস। অলরাউন্ডার বেন স্টোকস আউট হতেই ম্যাচ মুঠোয় চলে আসে চেন্নাইয়ের।
‘‘আমরা দল হিসেবে জিতি, দল হিসেবে হারি। টি-টোয়েন্টিতে ছোট মুহূর্তগুলো যদি আমরা জিততে পারি, তা হলে আমরা ভাল করব,’’ ধোনির দলের কাছে হেরে বলেছেন রাহানে। যোগ করেছেন, ‘‘টানা তিনটি ম্যাচে আমরা হেরে গেলাম। আশা করব পরের ম্যাচ থেকে ভাগ্যের চাকা আমাদের দিকে ঘুরবে।’’ মঙ্গলবারও যদি ভাগ্য না পাল্টায় তা হলে কিন্তু এ বারের প্রতিযোগিতা থেকে হারিয়ে যাওয়ার আতঙ্ক তাড়া করবে তাঁদের।
একই এসপার-ওসপার পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় দলে রাহানের অধিনায়ক বিরাট কোহালি। গত বারের মতোই দুর্দশার ছবি আইপিএলের তারকাখচিত দলকে গ্রাস করেছে। রয়্যালসের মতো তারাও টানা তিনটি ম্যাচ হেরেছে। এবং তিনটির মধ্যে দু’টিতে একেবারে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। ডেভিড ওয়ার্নার এবং জনি বেয়ারস্টোর জোড়া সেঞ্চুরিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হাতে রবিবার বিপর্যস্ত হওয়ার পরে কোহালি স্বীকারও করেন, ‘‘আইপিএলে আমাদের কুৎসিততম হার।’’ পাশাপাশি, কোহালি আশা করছেন, ‘‘এখনও এগারোটা ম্যাচ বাকি। আমাদের ভাল করার দক্ষতা রয়েছে।’’ কেউ কেউ বলছেন, আরসিবি বড্ড বেশি তাদের দুই তারকা ব্যাটসম্যান কোহালি এবং এ বি ডিভিলিয়ার্সের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, এ বারে এখনও ম্যাচ জেতানো ব্যাটিং দেখা যায়নি তাঁদের দিক থেকেও। কোহালি বলে রেখেছেন, ‘‘জয়পুরের পিচ খুব ভাল। ব্যাটসম্যানেরা খেলে আনন্দ পাবে।’’
তবে কোহালির জন্য সব চেয়ে স্বস্তির খবর হতে পারে, দুই বিদেশির আগমন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আরসিবি শিবিরে যোগ দিচ্ছেন দুই অস্ট্রেলীয় মার্কাস স্টোইনিস এবং নেথান কুল্টার-নাইল। দলে অলরাউন্ডারের অভাব মেটাতে পারেন স্টোইনিস। বিশেষ করে সীমিত ওভারের খেলায় তিনি খুবই উপযোগী ক্রিকেটার। তাঁকে দিয়ে ওপেনও করাতে পারে আরসিবি। অস্ট্রেলিয়ার কুড়ি ওভারের প্রতিযোগিতা বিগ ব্যাশে ওপেন করতে নেমে চারটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন স্টোইনিস।
কেকেআরে অতীতে খেলে যাওয়া কুল্টার-নাইল মেটাতে পারেন কোহালির ফাস্ট বোলিং নিয়ে দুর্ভাবনা। বিশেষ করে শেষের ওভারগুলিতে কোহালির হাতে ভাল বোলার না থাকার অভাব মেটাতে পারেন কুল্টার-নাইল। তেমনই ভারতের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সিরিজে নজর কাড়া অস্ট্রেলিয়ার আর এক ক্রিকেটার, অ্যাশটন টার্নারকে পাবে রাজস্থান। মঙ্গলবারের ম্যাচে আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে ১০০তম ম্যাচ খেলতে নামছেন কোহালি। আরও একটি মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আট হাজার রান পূর্ণ করতে চাই আর ৪০ রান।