ম্যাচ শেষ করে আসার অঙ্গীকার নায়কের

ছিটকে যাওয়া সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন খলিল আহমেদ। অন্য দিকে দিল্লি ক্যাপিটালসকে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তুলে দিল ঋষভ পন্থ ও পৃথ্বী শয়ের ইনিংস।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৯ ০৪:১৯
Share:

জয়ের উচ্ছ্বাস দিল্লি ক্যাপিটালস-এর ক্রিকেটারদের। ছবি: এএফপি।

ভারতের বিশ্বকাপ দলে যাঁরা সুযোগ পাননি, আইপিএলের এলিমিনেটরে তাঁরাই পারফর্ম করে গেলেন। ছিটকে যাওয়া সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন খলিল আহমেদ। অন্য দিকে দিল্লি ক্যাপিটালসকে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তুলে দিল ঋষভ পন্থ ও পৃথ্বী শয়ের ইনিংস।

Advertisement

৩৮ বলে ৫৬ রান করেন ওপেনার পৃথ্বী। ২১ বলে ৪৯ রান করে ম্যাচের সেরা ঋষভ। কিন্তু হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি দিল্লির তরুণ ক্রিকেটার। পাঁচ রান বাকি থাকতে শিকার হন ভুবনেশ্বর কুমারের। ঋষভের উইকেট পড়ার পরে ম্যাচ কঠিন হয়ে গিয়েছিল দিল্লির সামনে। এক বল বাকি থাকতে চার মেরে জিতিয়ে দেন কিমো পল।

এ দিকে এক ওভারে পরপর দু’টি উইকেট নিয়ে ফোন করার অঙ্গভঙ্গি করে আলোচনায় উঠে এলেন খলিল আহমেদও।

Advertisement

আরও পড়ুন: সৌরভের মানসিক দৃঢ়তাই কি দিল্লির দুর্দান্ত জয়ের অন্যতম কারণ?

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বাঁ হাতি পেসারের উল্লাসের ভঙ্গি দেখে টুইটারে ঝড় ওঠে, ‘‘খলিল কি ফোনটি নির্বাচকদের উদ্দেশে করলেন?’’ কারও প্রশ্ন, ‘‘খলিল যাঁকে ফোন করলেন, তিনি ফোনটি ধরলেন তো?’’ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাননি রাজস্থানের টঙ্কের তরুণ পেসার। কিন্তু চলতি আইপিএলে মাত্র ৯ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছেন। এ দিনও পান দুই উইকেট। ধারাভাষ্যকারদের মধ্যেও এ বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সুনীল গাওস্কর বলেন, ‘‘খলিলের ভঙ্গি দেখে বোঝা গেল না কাকে ফোন করছে। তবে আশা করি, এর পিছনে কোনও খারাপ ইঙ্গিত ছিল না।’’

ম্যাচ শেষ না করে আসার জন্য আগেও ঋষভকে সতর্ক করেছিলেন কোচ রিকি পন্টিং। ঋষভ যদিও কথা দিয়েছেন, পরের বার থেকে এ ভাবে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসবেন না। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্টানে ঋষভ বলেন, ‘‘পুরোটা খুশি হতে পারছি না। কারণ, ম্যাচটি শেষ করে আসতে পারিনি। এ ধরনের উইকেটে এক বার থিতু হয়ে গেলে ম্যাচ শেষ করে আসা উচিত। কথা দিলাম, পরের এক ভুল করব না।’’ এ ধরনের ম্যাচে কতটা চাপ সহ্য করতে হয়? ঋষভের উত্তর, ‘‘ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে না পারলে কোনও লাভ নেই। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে যদি ২০ বলে ৪০ রান প্রয়োজন পড়ে, তখন তো আমাকে আক্রমণ করে খেলতেই হবে। এতে চাপের কিছু নেই।’’

বিপক্ষে ভুবনেশ্বর কুমার, খলিল আহমেদের মতো বোলার ছিলেন। কিন্তু ঋষভ কোনও ভাবেই বাড়তি চাপ নেননি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বোলারের নাম দেখে খেলি না। বলের মান বুঝে খেলি। আজ যেমন বেশি জোরে মারার চেষ্টা করিনি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement