IPL 2023

বাবার বেল্টের মার, সারা শরীরে ক্ষত, ক্রিকেটার হয়ে ওঠার কাহিনি শোনালেন কোহলিদের সতীর্থ

ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বাবার প্রবল মার হজম করতে হয়েছিল। আইপিএলের আগে একটি সাক্ষাৎকারে সে কথা জানিয়েছেন বিরাট কোহলির সতীর্থ। কী বলেছেন তিনি?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৩ ১১:২৭
Share:

কোহলিদের সতীর্থ খলিল ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন। — ফাইল চিত্র

ছোট থেকেই চেয়েছিলেন ক্রিকেট খেলতে। কিন্তু বাবার একদম পছন্দ ছিল না। তিনি চেয়েছিলেন, ছেলে ডাক্তার হোক। ছেলেও নাছোড়বান্দা। ফলে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বাবার প্রবল মারও হজম করতে হয়েছিল খলিল আহমেদকে। আইপিএলের আগে একটি সাক্ষাৎকারে সে কথা জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে ভাল খেলে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন খলিল। সেই পারফরম্যান্স তাঁকে সুযোগ করে দেয় ভারতীয় দলেও। তবে সেখানে পারফরম্যান্স খারাপ থাকায় কিছু দিন পরে বাদ পড়েন। এখন তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমার তিন বড় দিদি ছিল। বাবা ছিলেন রাজস্থানের টঙ্ক জেলার কম্পাউন্ডার। বাবা কাজে গেলে আমাকে মুদির দোকানে বা সবজি কিনতে হত। কিন্তু মাঝের সময়টায় প্রচুর ক্রিকেট খেলতাম। তাই ঘরের কাজগুলো অসম্পূর্ণ থেকে যেত। মা সেটা নিয়ে বাবাকে অভিযোগ করতে করতেন। ওঁরা আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন, সারা দিন আমি কোথায় ছিলাম। আমি থাকতাম মাঠে। সেটা বললেই বাবা রেগে যেতেন।”

Advertisement

খলিলের সংযোজন, “বাবাকে ক্রিকেট খেলার কথা বলতেই উনি রেগে যেতেন। উনি চাইতেন আমি পড়াশুনো করি। ক্রিকেট খেলতে গিয়েছি শুনলেই বেল্ট দিয়ে মারতেন। আমার সারা শরীরে দাগ পড়ে যেত। রাতে আমার দিদিরা সেই ক্ষতস্থানে শুশ্রূষা করত। আসলে বাবা কম্পাউন্ডার ছিলেন বলেই চেয়েছিলেন আমি ডাক্তার হই। ভবিষ্যতে আমার যাতে কোনও কষ্ট না হয় সেটাই চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এক বার ভাল ক্রিকেট খেলতে শুরু করার পরেই আর কিছু বলেননি। তার পরে নিয়মিত ক্রিকেট খেলতে দিয়েছিলেন। কোনও দিন বাধা দেননি। এটাও বলেছিলেন, নিজের পেনশন দিয়েও আমার খরচ জোগাবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement