আইপিএল শুরু হওয়ার পর কেটে গিয়েছে তিন সপ্তাহেরও বেশি। পয়েন্ট তালিকায় অনেক ওঠাপড়া হয়েছে। কেউ বা এগিয়েছেন, কেউ পিছিয়েছেন। এক সময় শীর্ষে থাকা কলকাতা ছয়ে নেমে গিয়েছে। শীর্ষে রয়েছে দুই নতুন দল গুজরাত এবং লখনউ।
মুম্বই এখনও জয় খুঁজে পায়নি। টানা ছ’টি ম্যাচে হেরেছে তারা। গত এক সপ্তাহে অবশ্য চেন্নাই সুপার কিংস জয়ের মুখ দেখেছে। তারা হারিয়েছে বেঙ্গালুরুকে। জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে হায়দরাবাদও।
আইপিএলের কমলা টুপির লড়াইয়ে দেশিদের পাশাপাশি পাল্লা দিচ্ছেন বিদেশিরাও। কিন্তু বেগুনি টুপিতে একচ্ছত্র আধিপত্য ভারতীয়দেরই।
কমলা টুপি এখনও রয়েছে জস বাটলারের মাথায়। পাঁচ ম্যাচে ২৭২ রান করেছেন তিনি। একটি শতরান এবং দু’টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর নামের পাশে।
শনিবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে অসাধারণ শতরান করে রাতারাতি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন লখনউ অধিনায়ক কেএল রাহুল। তাঁর ছয় ম্যাচে ২৩৫ রান রয়েছে। একটি অর্ধশতরানও করেছেন তিনি।
এ বারের আইপিএলে অনেক পরিণত মানসিকতা নিয়ে খেলা হার্দিক পাণ্ড্য রয়েছেন তিনে। পাঁচ ম্যাচে তাঁর রান ২২৮। গোটা মরসুমে যে রান করতেন, এ বার পাঁচ ম্যাচেই সেই রান করে ফেলেছেন তিনি।
মুম্বই ছেড়ে লখনউয়ে গিয়েও কুইন্টন ডি’ককের ব্যাটে রান অব্যাহত। ছয় ম্যাচে ২১২ করেছেন। দু’টি অর্ধশতরান রয়েছে। ওপেনিংয়ে ভরসা দিচ্ছেন দলকে।
চেন্নাইয়ের একমাত্র জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন শিবম দুবে। অপরাজিত ৯৫ রান করেন। পাঁচ ম্যাচে ২০৭ রান করে তিনি পঞ্চম স্থানে।
বোলারদের তালিকায় এখনও শীর্ষে যুজবেন্দ্র চহাল। পাঁচ ম্যাচে ১২টি উইকেট রয়েছে তাঁর। তবে তাঁর ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছেন আরও চার জন। চহালের পরে থাকা চারজনেরই রয়েছে ১১টি করে উইকেট।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা কুলদীপ যাদব ছয় ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতার বিরুদ্ধে ৩৫ রানে চার উইকেট রয়েছে। তাঁর ইকনমি রেট ৮.২৩।
লখনউয়ের আবেশ খান হঠাৎ করেই তালিকায় তিনে উঠে এসেছেন। তিনি ছয় ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন। ইকনমি রেট ৮.২৯।
বেঙ্গালুরুর ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ ধারাবাহিক ভাবে ভাল বল করে চলেছেন। প্রতি ম্যাচেই দলকে সাফল্য দিচ্ছেন। তাঁর ১১ উইকেট রয়েছে ছয় ম্যাচে।
এই আইপিএলেও সাড়া জাগাচ্ছেন টি নটরাজন। প্রথম দিকে ধীর গতিতে শুরু করার পর ধীরে ধীরে উইকেটের সংখ্যা বাড়াচ্ছেন তিনি। পাঁচ ম্যাচে তাঁর ১১ উইকেট রয়েছে।