Brendon McCullum

IPL 2022: সব ম্যাচই ফাইনাল, শ্রেয়সদের জানিয়ে রাখলেন ম্যাকালাম

বাঁ-হাতি স্পিনার অনুকূল রায়কে প্রথম ছয় ওভারে ব্যবহার করে রান আটকে দেওয়ার রণনীতি ফের দেখা যেতে পারে।  পুণের গাহুঞ্জে স্টেডিয়ামে নাইটদের এই দাপট দেখারই অপেক্ষায় কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২২ ০৫:৪২
Share:

নির্দেশ: আগ্রাসী ক্রিকেটের বার্তা নাইটদের কোচের। ফাইল চিত্র

কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে অঙ্ক একেবারেই পরিষ্কার। প্লে-অফের যাত্রায় টিকে থাকতে গেলে শেষ চার ম্যাচই জিততে হবে শ্রেয়স আয়ারদের। একটিও হারলে শেষ চারের স্বপ্ন অনেকটাই ধাক্কা খাবে। কারণ, আইপিএল এ বার দশ দলের। প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও বেশি। সে ক্ষেত্রে মাত্র সাতটি ম্যাচ জিতে থাকা দলের পক্ষে শেষ চারে যাওয়া কঠিন।

Advertisement

শনিবার নাইটদের প্রতিপক্ষ লখনউ সুপার জায়ান্টস। ইতিমধ্যেই যারা ১০ ম্যাচের সাতটিতে জিতে রয়েছে। কে এল রাহুলের দল আর একটি ম্যাচ জিতলেই প্লে-অফের স্থান প্রায় পাকা করে ফেলবে। শনিবার পুণেয় এই দ্বৈরথ দু’দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। আইপিএল লিগ তালিকায় প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে আট দল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস সাতটির বেশি ম্যাচ হেরে প্লে-অফ দৌড়ের বাইরে। কেকেআরের স্থানও খাদের কিনারায়। ১০ ম্যাচে হেরেছে ছ’টি। শেষ চারটি ম্যাচের চারটিই তাই নক-আউট হিসেবে দেখছে নাইট শিবির। নাইটদের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম দলীয় বৈঠকে বলেই দিয়েছেন, ‘‘প্রত্যেক ম্যাচ খেলো ফাইনাল হিসেবে।’’ কোনও প্রতিপক্ষকে আর হাল্কা ভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই নাইটদের। কেকেআরের সামনে এখনও বাকি লখনউয়ের বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচ। পাশাপাশি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে ফিরতি ম্যাচ বাকি থাকছে। প্রত্যেকটি খেলাই এখন মরণ-বাঁচন দ্বৈরথ। তাই প্রস্তুতিতেও কোনও খামতি নেই।

শেষের দিকে টানা ম্যাচ জিতে প্লে-অফে যাওয়ার ঘটনা আগেও আছে নাইটদের। ২০১৪ সালে টানা ৯টি ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গৌতম গম্ভীরের কেকেআর। গত বারও শেষ সাতটির মধ্যে পাঁচটি ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল নাইটরা। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ বরাবরই পছন্দ করে নাইট শিবির। তাই এত সহজে কেকেআরকে আইপিএল অঙ্কের বাইরে রাখা যায় না।

Advertisement

নাইট শিবিরের মূল সমস্যা তাদের ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা। এখনও পর্যন্ত প্রথম ম্যাচ ছাড়া বড় জুটি গড়তে পারেননি নাইট ওপেনারেরা। সেই সঙ্গেই অতিরিক্ত পরিবর্তন ব্যাটারদের থিতু হতে দিচ্ছে না। পেসারদের বিরুদ্ধেই সব চেয়ে সমস্যায় পড়ছেন কেকেআর ব্যাটাররা। খাটো লেংথের বলে শট খেলতে গিয়ে শেষ ম্যাচে আউট হয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ ও বাবা ইন্দ্রজিৎ। লখনউয়ের পেস বিভাগও শক্তিশালী। দুষ্মন্ত চামিরা ও মহসিন খানের গতি বড় পরীক্ষায় ফেলতে পারে কেকেআরকে।

নাইট শিবিরে বিপক্ষ পেসারদের নিয়ে যদিও খুব একটা আতঙ্ক নেই। কেকেআরের চিন্তার কারণ রবি বিষ্ণোইয়ের ছন্দ। লেগস্পিনার হলেও গুগলির প্রয়োগেই বেশির ভাগ উইকেট পান বিষ্ণোই। গতির সঙ্গে স্পিন করানোয় বেশি রানও আসে না তাঁর ওভারে। বিষ্ণোইকে তাই অফস্পিনার ভেবে খেলার পরামর্শ কোচের। সুইপ ও রিভার্স সুইপের প্রয়োগে রান বার করার উপায় খুঁজতে পারেন নাইটদের ব্যাটাররা। ইনস্টাগ্রাম লাইভ-এ নাইটদের প্রস্তুতিতে সেই ছবিই ফুটে উঠেছে।

কেকেআরের বোলিং বিভাগ যে কোনও দলের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কে এল রাহুল, কুইন্টন ডি’ককরা যতই ছন্দে থাকুন না কেন, উমেশ যাদবের সুইংয়ের সামনে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। দুই ব্যাটারই অফস্টাম্পের বাইরে মারার জায়গা খোঁজেন। কিন্তু উমেশ ও সাউদি সেই সুযোগই দিচ্ছেন না ব্যাটারদের। বাঁ-হাতি স্পিনার অনুকূল রায়কে প্রথম ছয় ওভারে ব্যবহার করে রান আটকে দেওয়ার রণনীতি ফের দেখা যেতে পারে। পুণের গাহুঞ্জে স্টেডিয়ামে নাইটদের এই দাপট দেখারই অপেক্ষায় কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন