গুজরাত ২০৮/৭ (২০ ওভার)
দিল্লি ২১৪/৩ (১৭.৩ ওভার)
গুজরাতের ২০৮ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র সাড়ে সতেরো ওভারে জয় ছিনিয়ে নিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। সৌজন্যে ঋষভ পন্থ(৯৭) ও সঞ্জু স্যামসনের(৬১) চওড়া ব্যাট। দুজনের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ধরাশায়ী গুজরাতের বোলিং। মাত্র ৪৩ বলে ৯৭ রানের ইনিংস খেললেন ঋষভ পন্থ। যোগ্য সঙ্গত সঞ্জু স্যামসনের। এই ম্যাচ জিতে ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট দিল্লির।
শুরুটা একটু নড়বড়ে হলেও পরে খেলার রাশ নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় গুজরাত লায়ন্স। বৃহস্পতিবার টস জিতে ঘরের মাঠে প্রতমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের অধিনায়ক করুণ নায়ার। বল হাতে শুরুটা ভালই হয়েছিল হোম টিমের। ওপেন করতে নামা স্টিভ স্মিথ ও ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ৯ ও ১ রানেই ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে অবশ্য পরেই ঘুরে দাঁড়ায় লায়ন্সরা। দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সুরেশ রায়না। অল্প রানে একবার তাঁর ক্যাচ ফেলেই বিপত্তি। সেই সুরেশ রায়না যখন থামেন তখন তাঁর নামের পাশে লেখা হয়ে গিয়েছে ৭৭ রান। ৪৩ বলে তাঁর এই ইনিংসে ছিল পাঁচটি বাউন্ডারি ও চারটি ওভার বাউন্ডারি। তাঁকে যোগ্যসঙ্গত দিয়ে যান দীনেশ কার্তিক। ৩৪ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে আসে পাঁচটি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি। এই দুই ব্যাটসম্যানই দলকে বড় রানের পথ দেখিয়ে দিয়েছিলেন। এর পর অ্যারন ফিঞ্চের ২৭ ও রবীন্দ্র জাডেজার অপরাজিত ১৮ রানের ইনিংস নির্ধারিত ওভারের শেষে সাত উইকেট হারিয়ে গুজরাত লায়ন্স থামে ২০৮ রানে।
আরও খবর: ‘রবিনহুড’-এর অভাব কেকেআর-এ
দিল্লির ডেয়ারডেভিলসের হয়ে দুটো করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা ও প্যাট কামিন্স। একটি উইকেট কোরে অ্যান্ডারসনের। স্মিথ ও রায়না রান আউট হন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার অধিনায়ক করুণ নায়ার ১২ রানের প্যাভেলিয়নে ফিরে গেলে আর এক ওপেনার সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে দিল্লি ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন ঋশভ পন্থ। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দিল্লি।