ব্যাট করছেন যুবরাজ সিংহ। ছবি: পিটিআই।
হায়দরাবাদ ২০৭/৪ (২০ ওভার)
বেঙ্গালুরু ১৭২/১০ (১৯.৪ ওভার)
গত বছর যেখানে শেষ করেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ঠিক সেখান থেকেই দশম আইপিএল শুরু করে দিল তারা। ফাইনালে এই বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধেই গত বছর ২০৮ রানের ইনিংস খেলেছিল হায়দরাবাদ। এদিন থামল ২০৭এ। যে লক্ষ্যে পৌঁছতে ব্যর্থ কোহালিহীন বেঙ্গালুরু। গতবারের ফাইনালে হারের পর এ বার হার দিয়ে শুরু তাদের। ৩৫ রানে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে এগিয়ে গেল হায়দরাবাদ।
আরও খবর: আইপিএল ওপেনিংয়ে ফ্যাব ফোর, টস জিতে ফিল্ডিং বেঙ্গালুরুর
বুধবার টস জিতে রাজীব গাঁধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে হোম টিমকেই ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল বেঙ্গালুরু অধিনায়ক শেন ওয়াটসন। প্রথমে ব্যাট করে চার উইকেট হারিয়ে ২০৮ রানের লক্ষ্য রাখেন ওয়ার্নার, যুবরাজরা। ওপেন করে এসে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ১৪ রান করেই ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। আর এক ওপেনার শিখর ধবন জাতীয় দলের ফেরার মঞ্চ হিসেবেই আইপিএলকে শুরু থেকে ব্যবহার করতে শুরু করে দিল। মোয়েসেস এনরিকসকে সঙ্গে নিয়ে নিজের নামের পাশে ৩১ বলে ৪০ রানের ইনিংস লিখে ফেলেন তিনি। এর পর বাকি কাজ করে যান যুবরাজ সিংহ। তিনিও ফিরলেন ক্রিকেটে। তাঁরও যে প্রমাণের মঞ্চ এটাই। যুবরাজের ব্যাট থেকে এল ২৭ বলে ৬২। এনরিকস করলেন ৫২। বল হাতে তেমনভাবে সাফল্য এল না বেঙ্গালুরু বোলারদের। একটি করে উইকেট নিলেন মিলস, অনিকেত, চাহাল ও বিনি।
হতাশ অনিকেত চৌধুরী।
জবাবে ব্যাট করতে এসে শুরুটা মন্দ করেনি বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। দুই ওপেনার ক্রিস গেইলের ২১ বলে ৩২ ও মনদীপ সিংহর ১৬ বলে ২৪ রানের সৌজন্য ভীতটা তৈরি হয়েই গিয়েছিল। এর পর কিছুটা ভরসা দিয়েছিলেন ত্রাভিস হেড (৩০) ও কেদার যাদব (৩১)। কিন্তু হায়দরাবাদ বোলারদের দাপটে পর পর প্যাভেলিয়ে ফিরতে শুরু করেন বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানরা। যার ফল দু’বল বাকি থাকতেই ১৭২ রানে শেষ হয়ে যায় বেঙ্গালুরুর উইকেট। আবির্ভাবেই জোড়া উইকেট নেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। দুটো করে ভুবনেশ্বর কুমার ও আশিস নেহরা। ম্যাচের সেরা হয়েছেন যুবরাজ সিংহ।