পুণেয় জিতে রাত তিনটেয় কলকাতা ফেরার ফ্লাইট ধরলাম

পুণের বিরুদ্ধে আমাদের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্সটা তুলে ধরলাম। কিন্তু এই ম্যাচটা আরও একটা জিনিস দেখিয়ে দিল। দেখাল, আইপিএল কতটা চাপ সৃষ্টি করতে পারে ক্রিকেটারদের ওপর।

Advertisement

জাক কালিস

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৫৭
Share:

পুণের বিরুদ্ধে আমাদের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্সটা তুলে ধরলাম। কিন্তু এই ম্যাচটা আরও একটা জিনিস দেখিয়ে দিল। দেখাল, আইপিএল কতটা চাপ সৃষ্টি করতে পারে ক্রিকেটারদের ওপর। বিশেষ করে যেখানে এ রকম ঠাসা ক্রীড়াসূচি আছে।

Advertisement

বুধবার ম্যাচ শেয হয়ে যাওয়ার পরে আমরা এক ঘণ্টার জন্য হোটেলে ফিরেছিলাম। তার পরেই রাত সাড়ে তিনটের ফ্লাইট ধরতে বেরিয়ে পড়ি। আড়াই ঘণ্টার উড়ানের পরে কে কখন শুতে গেল জানি না। তবে সকাল আটটার আগে যে কেউ বিছানায় গা এলায়নি, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।

বুধবারের রাতটা খুব ঘটনাবহুল গেল। আমাদের এ বারের সূচিটা এতটাই ঠাসা যে, ধকলটা খুব বেশি পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু করার নেই। আমরা অনেক আগে থেকেই ব্যাপারটা জানতাম এবং কোনও রকম অভিযোগ ছাড়াই কেকেআরের ক্রিকেটাররা ব্যাপারটা মেনে নিয়েছে। বরং অনেক হাসিঠাট্টাই হল আমাদের মধ্যে। তবে বৃহস্পতিবার লাঞ্চের সময়ও দেখলাম অনেকে ঘুমোচ্ছে।

Advertisement

আমাদের রাতের বিমান যাত্রাটা খুব ক্লান্তিকর হলেও পুণের মাঠে আমাদের পারফরম্যান্স এবং খেলার রেজাল্টটা সেই ক্লান্তি অনেকটাই মুছে দিতে পারল। আমাদের হাতে যা রসদ আছে তা আরও একবার কাজে লাগাতে পারলাম। যেটা আমাদের পরিকল্পনার মধ্যেই ছিল। নেথান কুল্টার নাইল-কে আমরা কলকাতায় রেখে গিয়েছিলাম, কারণ ওর পিঠে একটু ব্যথা হয়েছিল। আমরা চেয়েছিলাম ওকে বিশ্রাম দিয়ে দিল্লির বিরুদ্ধে তরতাজা রাখতে। আমার মনে হয় না, পুণে যেতে পারেনি বলে কুল্টার নাইলের কোনও অভিযোগ থাকবে!

পুণের বিরুদ্ধে আমরা সব সময় এক জন বাড়তি স্পিনার খেলাতে চেয়েছিলাম। সে জন্য পীযূষ চাওলা-কে দলে নেওয়া। বাড়তি স্পিনার খেলানোয় ড্যারেন ব্র্যাভোর জন্য ব্যাটিং লাইনে একটা জায়গা পাওয়া গেল। তবে গৌতম গম্ভীর এবং রবিন উথাপ্পা নিশ্চিত করে দেয় যে, ব্র্যাভো মাঠে নামার আগেই জয়টা মুঠোয় চলে এসেছে।

আমাদের সিনিয়ররা আরও একবার দেখিয়ে দিল, কী রকম দুর্দান্ত ফর্মে আছে ওরা। ক্যাপ্টেন বরাবরের মতোই দারুণ ব্যাট করে চলেছে। আর রবিন দেখাচ্ছে ও শু‌ধু ব্যাট হাতেই নয়, উইকেটের পিছনেও কাজের কাজটা করছে। রবিন আর কোনও দিন ভারতের হয়ে খেলতে পারবে না, এটা আমি বিশ্বাস করতে রাজি নই। ও যে এখনও ম্যাচ জেতাতে পারে, সেটা ধারাবাহিক ভাবে দেখিয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার আমাদের খেলা দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সঙ্গে। ওদের রেজাল্টটা আমাকে অবাক করেছে। ওদের টিমটা যথেষ্ট শক্তিশালী। টানা জেতার ক্ষমতা আছে দিল্লির । তবে আশা করব, আমাদের সঙ্গে ম্যাচের পরেই দিল্লি ওদের জয়ের দৌড়টা শুরু করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন