সফল: আইপিএলে ভাল ফর্মে মনোজ তিওয়ারি। ফাইল চিত্র
নিলামে প্রথমে কেউ কেনেনি। একেবারে শেষে গিয়ে পুণে সুপারজায়ান্ট তাঁকে দলে নেয়। মনে করা হয়েছিল, প্রথম একাদশেই হয়তো জায়গা পাবেন না।
তিনি— মনোজ তিওয়ারি হয়ে উঠলেন এ মরসুমে পুণের অন্যতম ম্যাচউইনার। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে তাঁর অসাধারণ পার্টনারশিপের জোরেই মুম্বি ইন্ডিয়ান্স-কে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে চলে গেল পুণে। অথচ, ইনিংসের মাঝপথে দু’জনের জুটি এগিয়ে চললেও ব্যাটে-বলে ভাল সংযোগ ঘটাতে পারছিলেন না তাঁরা। ওয়াংখেড়ের পিচ এতই মন্থর ছিল যে, ধোনির মতো বিগহিটার পর্যন্ত মারতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছিলেন।
সেই সময়ে মনোজ এবং ধোনি নিজেদের মধ্যে কথা বলে স্ট্র্যাটেজি পাল্টান। আড়াআড়ি ব্যাট চালাচ্ছিলেন তাঁরা। ধোনি এসে বলেন, এ বার সোজা চালাব। তাতে যা হয় হবে। ক্রস ব্যাট বন্ধ করে সোজা চালানোর রণনীতি নিয়েই সফল হন তাঁরা। শেষ দুই ওভারে তোলেন ৪১। ধোনি নিজে পরে মনোজকে বাহবা দিয়ে যান। আরও দু’জনের অভিনন্দন বাংলার অধিনায়ক পেয়েছেন বলে জানা গেল। এক জন তাঁরই দলের। যিনি মঙ্গলবারের প্লে-অফ ম্যাচে ছিলেন না। বেন স্টোকস। অভিনন্দন জানিয়েছেন ভাল ইনিংসের জন্য। অন্য জন, তাঁর বরাবরের আদর্শ ক্রিকেটার— সচিন তেন্ডুলকর। অতীতে বহু বার মনোজকে উৎসাহ দিয়েছেন সচিন। মঙ্গলবার রাতেও পিঠ চাপড়ে দিয়ে বলে গিয়েছেন, সাবাশ। খুব ভাল খেলেছিস।
আরও পড়ুন: লেট নাইট শো-তে এল মুম্বই টিকিট
মনোজকে এ বার শুরুতেই অবশ্য পুণে টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর ভূমিকা পরিষ্কার করে দেয়। দ্রুত উইকেট পড়ে গেলে তুমি যাবে। ইনিংস গড়ার কাজটা করে নিয়ে তার পর বিগ হিটে যাও— এই ছিল ফ্লেমিংদের মন্ত্র। আর যদি শুরুতে উইকেট না পড়ে তা হলে স্টোকস, ধোনিরা আগে যাবেন। মনোজ নিজেকে সে ভাবেই তৈরি রাখছিলেন। নেটে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছেন অনুশীলনে। বিশেষ ভাবে নজর দিয়েছিলেন স্ট্রাইক রেটে উন্নতি ঘটানোর। ঠিকই করে নিয়েছিলেন, এটাই জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইপিএল। এ বার ভাল করতে না পারলে স্বপ্নই শেষ হয়ে যাবে।
স্বপ্ন শেষ হয়নি, বরং ফিরে এসেছে মনোজ তিওয়ারির জীবনে। এখন বাকি ফাইনাল হার্ডল। যদি সেটাও টপকাতে পারেন, ব্রাত্য থেকে বিজয়ী হবেন তিনি।