কম রানের ম্যাচেও বাজিমাত মুম্বইয়ের

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ১৪২ রানে আটকে দিয়েও স্বস্তি পেল না দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। তাদেরও ২৪ রানের মধ্যে আধ ডজন উইকেট পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ক্রিস মরিস ও কাগিসো রাবাদার পার্টনারশিপটা না হলে দিল্লি লড়াইয়ে আসতেই পারত না। তবে এই লড়াইয়েও শেষ রক্ষা হল না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৪২
Share:

নায়ক: তিন উইকেট নিয়ে মুম্বইকে জেতালেন ম্যাকলেনাঘান। ছবি: পিটিআই

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ১৪২ রানে আটকে দিয়েও স্বস্তি পেল না দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। তাদেরও ২৪ রানের মধ্যে আধ ডজন উইকেট পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ক্রিস মরিস ও কাগিসো রাবাদার পার্টনারশিপটা না হলে দিল্লি লড়াইয়ে আসতেই পারত না। তবে এই লড়াইয়েও শেষ রক্ষা হল না। দিল্লি হেরেই গেল ১৪ রানে। ১২৮-৭-এ শেষ তাদের দৌড়।

Advertisement

ব্যাট হাতে লড়লেও রাবাদা কিন্তু এ দিন তাঁর আসল কাজে একেবারেই সফল হননি। শুধু পার্থিব পটেলকে ফেরান তিনি। ৩০ রানও দেন। দুটো করে উইকেট পান অমিত মিশ্র ও প্যাট কামিন্স।

কিন্তু তিনটে রান আউটই মুম্বইকে বিপদে ফেলে দেয়। সঞ্জু স্যামসনের থ্রোয়ে জস বাটলার রান আউট হন। আর শেষ দিকে হার্দিক পাণ্ড্য ও হরভজন সিংহও রান আউট হয়ে ফিরে যান।

Advertisement

মুম্বইয়ের স্কোরবোর্ডে সবচেয়ে বেশি রান বাটলারেরই। আগের ম্যাচেই কিংগস ইলেভেনের বিরুদ্ধে যাঁর ৩৭ বলে ৭৭ জিতিয়ে দিয়েছিল দলকে।

সেই ম্যাচে ১৯৮ তাড়া করে জেতা দলের এ দিন ঘরের মাঠে ১৪২-৮-এ শেষ হয়ে যাওয়াটা কিছুটা হলেও অবাক করে দেওয়ার মতো। তবে মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা এ দিন ঢেকে দেন বোলাররা। প্রথম স্পেলে মাত্র সাত রানের মধ্যে পরপর তিনটে উইকেট নিয়ে দিল্লিকে বিপদে ফেলে দেন মিচেল ম্যাকলেনাঘান। দিল্লি ৯-১ থেকে ২১-৪ হয়ে যায়। তার পরেই জসপ্রীত বুমরাহ ঋষভ পন্থকে ফিরিয়ে দেন। করুণ নায়ারের স্টাম্পও হার্দিক ছিটকে দেন পরের ওভারেই।

প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রানও করতে পারেননি। এর পর থেকেই দলের হাল ধরেন রাবাদা (৪৪) ও মরিস (৫২)। ৯১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তাঁরা। দু’জনে মিলে ন’টা চার ও একটা করে ছয় মারেন। কিন্তু বুমরাহ রাবাদার স্টাম্প ছিটকে দেওয়ার পরই দিল্লির লড়াই কার্যত শেষ হয়ে যায়। প্যাট কামিন্সকে নিয়ে আর শেষ রক্ষা করতে পারেননি মরিস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন