জুটি: স্মিথ ও ধোনি। ছবি: বিসিসিআই
এ বারের আইপিএলে এমএস ধোনিকে টস করতে নামতে না দেখাটা বড় হতাশা। দশম আইপিএলে এটা একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনাও বলতে পারেন। আইপিএল যেখানে ধোনির ঘরবাড়ির মতো হয়ে গিয়েছিল, সেখানে তাকে পুণে সুপারজায়ান্টের একজন সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে নামতে দেখে বেশ অদ্ভুতই লাগল। মাঠে দাঁড়িয়ে আর পাঁচজন উইকেটকিপারের মতো সে শুধু কিপিংই করে গেল, দল চালানোর কাজে তার বিন্দুমাত্র ভূমিকা দেখা গেল না, এটা দেখতে একটু কষ্টই হচ্ছিল যেন।
এমএস ধোনিকে দলে পাওয়াটা যে কোনও ক্যাপ্টেনের কাছেই একটা বড় প্রাপ্তি। শুধু যে স্টাম্পের পিছনে ও সামনে বড় দায়িত্ব নেওয়া, তা নয়, ওর সেরা ফর্মে থাকার দিনে ধোনি একাই যে একটা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, তার প্রমাণ বহুবার পেয়েছি আমরা।
আমার ক্রিকেটীয় বিচারে সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার যেমন পুণের আছে, তেমনই টাকার বিচারেও সবচেয়ে দামী ক্রিকেটারও এ বার এই দলেরই। বেন স্টোকস। এ বারের আইপিএল অকশনে ওকেই সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে কেনা হয়েছে। নিশ্চয়ই ওর কাছ থেকে তার প্রতিদান পাবে ধোনিরা।
পুণে দলের স্পিন ব্রিগেড এমনই যে তাদের পেস বিভাগের দুর্বলতা ঢেকে দিতে পারে অনায়াসে। প্রথম ম্যাচেই সেটা বুঝিয়ে দিল ইমরান তাহির। পরপর উইকেট নিয়ে। সঙ্গে আবার অ্যাডাম জাম্পা, যে গতবার হইচই ফেলে দিয়েছিল।
তবে পুণের বড় সম্পদ তো ক্যাপ্টেন স্টিভ স্মিথ নিজেই। ভারতের পিচে ওর চেয়ে ভাল ব্যাটিং আর কে-ই বা করে? স্মিথ হল সেই রান মেশিন, যা প্রায় একই রকম চলে, থেমে থাকে না। এদের নিয়ে আবার পুণে সুপারজায়ান্টের সংসার। যা তাদের নামের সঙ্গে বেশ মানিয়ে যাচ্ছে। দলটা সত্যিই সুপারজায়ান্ট বা ক্রিকেটের মহাদৈত্যতে ঠাসা।