ISL 2020

রয় কৃষ্ণর গোলে জয় এটিকে-মোহনবাগানের, জন্মদিনে হার কিবুর

একাধিক সুযোগ হাত ছাড়া করলেও, জয়ের গোল তুলে নিলেন কৃষ্ণই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোয়া শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২০ ১৯:৪৫
Share:

গোলের পর উচ্ছ্বাসে মাতলেন রয় কৃষ্ণ। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া

এটিকে-মোহনবাগান (১) - কেরল ব্লাস্টার্স (০)

Advertisement

(রয় কৃষ্ণ)

আইএসএল-এ অভিযেক মোহনবাগানের। নতুন ক্লাব হিসেবে এটিকে-মোহনবাগানেরও অভিষেক। এ বারের মেগা টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে বাগানে জয়ধ্বনি।

Advertisement

গোয়ার দর্শকশূন্য মাঠে সুযোগ সন্ধানী স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণর গোলে হাজার ওয়াটের আলো আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের মুখে। গতবার তাঁর ছোঁয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এটিকে। এ বার সংযুক্তিকরণের পরে নাম হয় এটিকে-মোহনবাগান। প্রথম ম্যাচ জিতে আগামী শুক্রবারের ডার্বির আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিলেন হাবাসের ছেলেরা।

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে হাতের তাস দেখাতে চাননি হাবাস। তাই প্রস্তুতি ম্যাচেও নামেননি। প্রথম ম্যাচ বলে শুরু থেকেই আক্রমণের রাস্তাও নেননি বিচক্ষণ স্পেনীয় কোচ। অবশ্য এই হাবাসকেই সবাই চেনেন। দেখনদারি ফুটবল না পসন্দ। তার বদলে ডিফেন্স জমাট করে আক্রমণে ওঠো। সেটাই করল হাবাসের দল। সামনে দুই স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণ এবং এডু গার্সিয়াকে নিয়ে ৩-৫-২ ছকে দল সাজিয়ে মাঠে নামে মোহনবাগান। মাঝমাঠের দখল নিয়ে গোলের রাস্তা খুলতে চেয়েছিলেন অ্যারাগোনেসের শিষ্য। কিন্তু কোয়রান্টিনের ধকল, তার সঙ্গে জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকে খেলার চাপে এখনও দানা বাঁধেনি দল। স্পেনের বিখ্যাত পাসিং ফুটবলেরও দেখা মেলেনি।

একই সমস্যায় ভুগছিল কিবু ভিকুনার কেরল ব্লাস্টার্সও। আজ ছিল তাঁর জন্মদিন। দল জিতবে এমন প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন মোহনবাগানকে আই লিগ জেতানো কোচ। আইএসএল-এ কোচ হিসেবে অভিষেক তো তাঁরও ছিল। গত বার তাঁর কোচিংয়ে মোহনবাগানকে দেখিয়েছিল বহতি নদীর মতো। পাসের বিচ্ছুরণ দেখা যেত মাঝমাঠে। এ দিন বিবর্ণ কেরল ব্লাস্টার্স। ব্যতিক্রম সাহাল আব্দুল সামাদ। জাতীয় দলের তরুণ এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে গতবারের কোচ এলকো শ্যাটরির বনিবনা হয়নি। সেই সাহাল ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। সুযোগও পেয়েছিলেন গোল করার। কিন্তু পায়ে বলে ঠিকঠাক না হওয়ায় গোল পাননি সাহাল। অবশ্য হাবাসের দল চিনের প্রাচীর তুলে দিয়েছিল। প্লেয়ার নামিয়ে এনে গোলমুখ আটকে দিচ্ছিল। এটাই তো হাবাসের স্ট্র্যাটেজি।

৬৭ মিনিটে গোল পান রয় কৃষ্ণ। অবশ্য গোল তো আরও আগে করতেই পারতেন ফিজির তারকা। খেলা শুরুর ৪ মিনিটের মাথায় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। জাভি হার্নান্ডেজের কর্নার থেকে বল গোলে ঠেলতে পারেননি কৃষ্ণ। এর পর ফের সুযোগ আসে ১৮ মিনিটে। কিন্তু তাঁকে আটকে দেন কেরলের কোস্টা। হাবাসের সম্পদ কৃষ্ণ। মোহনবাগানেরও।একাধিক বার গোলের সুযোগ নষ্ট করলেও, শেয হাসি হাসেন তিনিই। এ দিনও যে গোলটা করলেন, তাতে নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন কৃষ্ণ। বাঁ দিকে পরিবর্ত হিসেবে নামা মনবীর সিংহের কাছ থেকে বল পেয়ে কেরলের দুই ফুটবলারের মাঝখান দিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন কৃষ্ণ। আর ওই গোলই প্রথম ম্যাচে হাবাস এবং সমর্থকদের এনে দিল তৃপ্তির জয়।

২৭ নভেম্বর মোহনবাগানের দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসসি ইস্টবেঙ্গল। আইএসএল-এর দুনিয়ায় ইস্টবেঙ্গলের অভিষেক। ডার্বি ম্যাচের আগে এই জয় বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে সবুজ-মেরুন শিবিরকে। লাল-হলুদ কোচ কিংবদন্তি রবি ফাওলার নিশ্চয়ই আজকের ম্যাচ দেখে মোহনবাগানের শক্তি-দুর্বলতা তুলে রেখেছেন তাঁর ডায়রিতে। আপাতত এক সপ্তাহের অপেক্ষা। তার পরেই আইএসএল-এ বড় সড় বিস্ফোরণ। ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন