যুদ্ধের আগেই মেসির দিকে ‘সাদা রুমাল’ হামেসের

কোপা কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্তিনা বনাম কলম্বিয়াকে ফুটবলমহল যতই লিও মেসি বনাম হামেস রদ্রিগেজ হিসেবে দেখুক, স্বয়ং কলম্বিয়ান মহাতারকার তাতে তীব্র আপত্তি আছে। ম্যাচটার বাহাত্তর ঘণ্টা আগেই হামেস কার্যত সাদা রুমাল উড়িয়ে দিচ্ছেন মেসির উদ্দেশ্যে। ‘‘দয়া করে শুক্রবারের সন্ধেটাকে মেসি ভার্সাস হামেস’ স্টিকার মেরে বেচার চেষ্টা ছাড়ুন। কারণটা খুব সোজা— লিও বড্ড বেশি ভাল ফুটবলার,’’ এ দিন বলেন হামেস।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৫ ০৩:২২
Share:

হামেসদের বিরুদ্ধে শেষ আটের মহড়ায় লিও মেসি।

কোপা কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্তিনা বনাম কলম্বিয়াকে ফুটবলমহল যতই লিও মেসি বনাম হামেস রদ্রিগেজ হিসেবে দেখুক, স্বয়ং কলম্বিয়ান মহাতারকার তাতে তীব্র আপত্তি আছে। ম্যাচটার বাহাত্তর ঘণ্টা আগেই হামেস কার্যত সাদা রুমাল উড়িয়ে দিচ্ছেন মেসির উদ্দেশ্যে।
‘‘দয়া করে শুক্রবারের সন্ধেটাকে মেসি ভার্সাস হামেস’ স্টিকার মেরে বেচার চেষ্টা ছাড়ুন। কারণটা খুব সোজা— লিও বড্ড বেশি ভাল ফুটবলার,’’ এ দিন বলেন হামেস।
গত বছরই বিশ্বকাপে সোনার বুট আর পরে পুসকাস ট্রফি, দু’টোই পেয়েছিলেন হামেস। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার আর সেরা গোলের পুরস্কার। তার পরেই হামেসকে সই করায় রিয়াল মাদ্রিদ। মেসির বার্সেলোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল।
কিন্তু আর্জেন্তিনা-কলম্বিয়া কোপা-যুদ্ধের আগে হামেসের কাছে এই ম্যাচে বার্সা বনাম রিয়াল তাৎপর্যও কোনও নম্বর পাচ্ছে না। সেটার কারণও এলএম টেন। ‘‘কী করে আর্জেন্তিনা-কলম্বিয়া ম্যাচের সঙ্গে বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনা হয়? কলম্বিয়া টিমে আমি আর আর্জেন্তিনার হয়ে মেসি নামবে বলে? কিন্তু মেসি অন্য গ্রহের ফুটবলার। একমেবাদ্বিতীয়ম। মিডিয়া আর কিছু ফুটবলপণ্ডিতের মেসির সঙ্গে আমার লাগিয়ে দেওয়ার কোনও মানেই হয় না। মেসি এক জনই হয়। একটাই হয়,’’ সাফ বলে দিয়েছেন হামেস।

Advertisement

পরপর দু’বছরে বিশ্বকাপ আর কোপা থেকে নেইমারকে (প্রথম বার পিঠ ভেঙে দিয়ে, এ বার লাল কার্ডে) ছিটকে দেওয়া কলম্বিয়া টিমের তরুণ প্রতিভাবান অ্যাটাকার হামেসের এত মেসি-বন্দনার আবার অন্য কারণও দেখছেন কেউ কেউ। এঁদের মত— সম্প্রতি মোটেই ভাল যাচ্ছে না হামেসের ফর্ম। সে জন্যই আর্জেন্তিনা ম্যাচে আরও বেশি চাপমুক্ত থাকতে হামেস মেসির সঙ্গে তুলনায় নিজেকে এতটা বেশি পিছিয়ে রাখছেন।

হামেস

Advertisement

কিন্তু সেই ব্যাখ্যারও পাল্টা রয়েছে হামেসের কাছে। বলেছেন, ‘‘ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর আমার তারকা খ্যাতি ফুটবলদুনিয়ায় এতটাই বেড়ে যায় যে, বিপক্ষের ডিফেন্ডাররা আমার উপর স্পেশ্যাল নজর রাখতে শুরু করেছে। বিপক্ষ দলের কোচেরা আমাকে নিয়ে বাড়তি অঙ্ক কষছেন। আসলে বিশ্ব ফুটবলেই ম্যাচ-উইনারদের দিকে যাবতীয় ফোকাস থাকে বিপক্ষ দল থেকে শুরু করে মিডিয়া, দর্শক, সবারই। আর মাঠে তো ম্যাচ-উইনারকে বিপক্ষ এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়ে না। আমার বেলায়ও সেটাই হচ্ছে। কোপায় গ্রুপ পর্বেও সেটা আমি অনু‌ভব করেছি। আমাকে যে ভাবে মার্কিং করা হচ্ছে সেটা এক-এক সময় রীতিমতো ভয়ঙ্কর।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন