Jangalmahal cup

শুরু হল জঙ্গলমহল কাপ

প্রতিযোগিতার মাঝে পরিবেশিত হয় লোক সঙ্গীত, পারিজাত বাংলা ব্যান্ডের গান, ছৌ নৃত্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:২৩
Share:

অরবিন্দ স্টেডিয়ামে শুরু জঙ্গলমহল কাপ। —নিজস্ব চিত্র

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী শুরু হয়েছে জঙ্গলমহল কাপ। পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল এলাকার ৬টি থানার ক্লাবগুলিকে নিয়ে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। বুধবার মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে কোতোয়ালি থানার পরিচালনায় কোতোয়ালি এবং গুড়গুড়িপাল থানার ক্লাবগুলিকে নিয়ে মহিলা ও পুরুষ বিভাগের চূড়ান্ত পর্যায়ের ফুটবল প্রতিযোগিতা হল।

Advertisement

প্রতিযোগিতা শুরু হয় দুপুর সাড়ে তিনটেয়। প্রতিযোগিতার মাঝে পরিবেশিত হয় লোক সঙ্গীত, পারিজাত বাংলা ব্যান্ডের গান, ছৌ নৃত্য। শিশু জাগলার সমর বাস্কে দর্শকদের মন কেড়ে নেয়। সঙ্গে ছিলেন নিশীথ মাহাতো। পুরুষ বিভাগে গুড়গুড়িপাল থানার আলমপুর তরুণ সংঘ ২-০ গোলে হারায় কোতোয়ালী থানার হরিয়ার খেরোয়াল মারওয়ার গাওতা ক্লাবকে। গোল দুটি গোল হরিশ মাহাতো এবং অনন্ত মাহাতোর। ম্যাচের সেরা মোহন হাঁসদা। মহিলা বিভাগে গুড়গুড়িপাল থানার সঙ্খডাঙা নিউ বজরং ক্লাব এবং কোতোয়ালী থানার অগ্নিশিখা যুব সংঘ ক্লাব অংশগ্রহণ করে।

প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করতে হাজির হয়েছিলেন জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক রশ্মি কোমল, জেলা পরিষদ সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি, বিধায়ক প্রদ্যুৎ ঘোষ, দীনেন রায়-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জঙ্গলমহলের থানাগুলোকে নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। থিম, সবাইকে নিয়ে চলা। প্রতিভাবানদের তুলে আনাই লক্ষ্য। ফ্লাড লাইটে খেলা দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে। মহিলা ও পুরুষদের সমান ভাবে দেখা হয়। আগের থেকে প্রতিযোগী বেড়েছে। খেলোয়াড়রা চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন।”

Advertisement

আরও পড়ুন: পুরুষদের থেকে আগে বিশ্বকাপ খেলবে মহিলা ফুটবল দল, আশাবাদী প্রফুল পটেল

জেলা শাসক রশ্মি কোমল বলেন, “জঙ্গলমহল কাপের সূচনা হয়েছে শালবনীতে। যারা জিতছে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ পাচ্ছে । প্রতিযোগীদের শুভেচ্ছা জানাই।” জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী খেলা আর মেলা নিয়ে রয়েছেন বলে কটাক্ষ করেন অনেকে। তাদের বলি এতে মানুষের মধ্যে দৈহিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে। আগের সরকার খেলাধুলো নিয়ে উৎসাহ দিতো না। হারিয়ে যাওয়া খেলাকে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ শুধু শাসন করার জন্য নয়, তারা আয়োজন করছে খেলাধুলা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন