জয়ের পরে (বাঁ দিকে) ইয়নিক সিনার, শিয়নটেক (ডান দিকে)। ছবি রয়টার্স।
বিশ্বের সেরা টেনিস খেলোয়াড়ের মতোই খেলছেন ইয়নিক সিনার। প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতে দিচ্ছেন না তিনি। ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে উঠলেন পুরুষদের শীর্ষবাছাই। অস্ট্রেলিয়ার আলেক্সেই পপিরিনকে হারালেন সিনার (৬-৩, ৬-২, ৬-২)। তিনি সহজ জয় পেলেও এক সেট খোয়াতে হল শিয়নটেককে। তিন সেটের লড়াইয়ে তিনি হারালেন (৬-১, ৪-৬, ৬-৪) নেদারল্যান্ডসের সুজান লামেন্সকে।
সিনারের সামনে অবাছাই পপিরিন যে দাঁড়াতে পারবেন না সেটা খেলার শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। সিনারের পাওয়ার টেনিসের সামনে হার মানলেন প্রতিপক্ষ। গোটা ম্যাচে এক বারও নিজের সার্ভিস খোয়াননি সিনার। উল্টো দিকে তিনি ৯ বার পপিরিনের সার্ভিস ভাঙার সুযোগ পান। ৫ বার ভাঙেন। সেখানেই খেলা হেরে যান অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়।
আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের দর্শকেরা আশা করেছিলেন, হয়তো কিছুটা হলেও লড়বেন পপিরিন। বিশেষ করে এক মাস আগে উইম্বলডনে যে ভাবে একের পর এক ম্যাচে অবাছাই খেলোয়াড়দের হাতে বাছাই খেলোয়াড়রা হারছিলেন তাতে আশা খানিকটা বেড়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটা দেখা গেল না। আরাম করে পরের রাউন্ডে উঠলেন ইটালির সিনার।
তবে শিয়নটেক সহজে জিততে পারেননি। তাঁকে সমস্যায় ফেলল সার্ভিস। প্রথম সেটে অবশ্য লামেন্সকে দাঁড়াতে দেননি পোল্যান্ডের তারকা। মহিলাদের দ্বিতীয় বাছাই সমস্যায় পড়লেন দ্বিতীয় সেটে। তৃতীয় সেটেও সেই সমস্যা দেখা গেল। গোটা ম্যাচে ৯ বার শিয়নটেকের সার্ভিস ভাঙার সুযোগ পান লামেন্স। ৪ বার ভাঙেন তিনি। বাকি সুযোগ তিনি কাজে লাগাতে পারলে হয়তো খেলার ফল অন্য রকম হত।
সার্ভিস নিয়ে সমস্যা হলো লামেন্সেরও। ১২ বারের মধ্যে ৬ বার তাঁর সার্ভিস ভাঙেন শিয়নটেক। শেষ পর্যন্ত নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অবাছাই লামেন্সকে হারিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে উঠলেন শিয়নটেক।