নেশা: বুমরার ইচ্ছে ক্রিকেটের পাশাপাশি দেশও দেখা। —ফাইল চিত্র।
ক্রিকেট খেলতে এসে সারাক্ষণ ম্যাচের কথা ভাবা বা বোলিং নিয়ে পরিকল্পনা করে যাওয়া পছন্দ নয় যশপ্রীত বুমরার। যখন যে দেশে সফর করছেন, সেই দেশকে জানার অভিযানে বেরনোর নেশাও রয়েছে তাঁর। ‘‘যে দেশটা গিয়েছি, তাকে ভাল করে দেখার ইচ্ছা হয়। ঘুরে বেড়াতেও ইচ্ছা করে,’’ বলছেন বুমরা, ‘‘বাইরে বেরিয়ে না ঘুরলে সেই দেশটাকে জানব কী করে? একমাত্র বাইরে ঘোরাঘুরি করলে, সেখানকার লোকজনের সঙ্গে মিশলে তবেই তো জানতে পারব সে দেশের সংস্কৃতি কী। আর সেটা জানতে পারলে তবেই সেই দেশটাকে উপভোগ করা যায়।’’
ফাস্ট বোলার বুমরার এমন দার্শনিক ধরনের মন্তব্য শুনে অভ্যস্ত নয় ক্রিকেট মহল। দুর্দান্ত ইয়র্কারের জন্য তিনি ‘বুম বুম বুমরা’ নামেই বেশি পরিচিত। কিন্তু বুমরা স্বয়ং মনে করছেন, যে কোনও ক্রিকেটারের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে এই বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। ‘‘যদি বাইরে গিয়ে কোনও দেশকে উপভোগ করতে পারো, তখন পারফরম্যান্সের উপরেও তার প্রতিফলন ঘটে,’’ তাঁর আইপিএল দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ওয়েবসাইটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন বুমরা।
বিদেশ সফরে গেলে কী ভাবে তিনি পরিকল্পনা করেন, তা নিয়েও মুখ খুলেছেন বুমরা। বলেছেন, ‘‘নতুন কোনও দেশে গেলে আমি অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা করতে থাকি। ওই দেশে ঠিক কী ধরনের বোলিং বেশি সফল হয়েছে, তা বোঝার জন্য পুরনো ম্যাচের ভিডিয়ো দেখি। নিজেদের দেশে সেই টিম কী ভাবে খেলে।’’ এর পাশাপাশি, সেই দেশকে বোঝার অভিযান তো চলেই। বুমরার ব্যাখ্যা, ‘‘লম্বা বিদেশ সফরে গেলে সেই দেশটাকে উপভোগ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।’’
ওয়ান ডে ক্রিকেটে অনেক দিন ধরেই ভারতের প্রধান বোলিং অস্ত্র তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তাঁকে প্রথম টেস্টে আনা হয় এবং রবি শাস্ত্রী, বিরাট কোহালিদের সেই ভাবনা সম্পূর্ণ সফল। দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনটি টেস্টে ১৪টি উইকেট নেন বুমরা। দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট অভিষেকের স্মরণীয় মুহূর্তের দিকে ফিরে তাকিয়ে বুমরার মন্তব্য, ‘‘আমি সব সময়ই চেয়েছি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে। তাই যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় সুযোগ পেলাম, খুব আনন্দ হয়েছিল। শুরুটা আমার ভাল হয়েছিল। আশা করব, যত খেলব তত আমি উন্নতি করব।’’ কোহালি অবশ্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে পাচ্ছেন না বুমরাকে। চোটের জন্য নেই তিনি। তবে পরের চারটি টেস্টে তাঁকে পাওয়া যাবে।