নেটে মেন্টর! মঙ্গলবার নাগপুরে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ছবি: পিটিআই
শুধু গ্যালারি নয়, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নামক এক ব্যক্তিকে নাগপুরের নেটেও পাচ্ছে ঝাড়খণ্ড। যে ব্যক্তি বহু বার নিশ্চিত হারের মুখ থেকে দেশকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। জয় ছিনিয়ে এনেছেন। সেই ধোনির সান্নিধ্যের জন্যই কি না জানা নেই, গুজরাতের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে দারুণ লড়াই করল ঝাড়খণ্ড। আরও ভাল করে বললে, ঝাড়খণ্ডের হয়ে লড়লেন ইশাঙ্ক জাগ্গি।
গত পাঁচ মরসুম ধরে ঝাড়খণ্ডের ব্যাটিংয়ের প্রধান ভরসা ইশাঙ্ক। যিনি বিপদে প্রায় সব সময় দলের কাজে এসেছেন। গুজরাতের বিরুদ্ধে এ দিন তাঁর টিম বিপদেই পড়ে গিয়েছিল। পার্থিব পটেলরা প্রথম ইনিংসে ৩৯০ তুলেছিলেন, যার জবাবে দিনের শুরুতে ঝাড়খণ্ড পাঁচ উইকেট হাতে ১৭৬ রানে পিছিয়ে ছিল। ৪০ স্কোরে তৃতীয় দিনের ইনিংস শুরু করেছিলেন ইশাঙ্ক। এবং লোয়ার অর্ডারের সঙ্গে এমন স্থৈর্যের সঙ্গে ব্যাট করে যান যে, চলতি মরসুমের চতুর্থ সেঞ্চুরির সঙ্গে ঝাড়খণ্ডকে প্রথম ইনিংসের লিডও এনে দেন। ২৮৮ মিনিট ব্যাট করে ১২৯ করেন ইশাঙ্ক।
লিডের অঙ্ক যে মাত্র ১৮ ছিল, গুজরাত যে তখনও ভাল জায়গায় ছিল, তার পিছনে রয়েছে রুদ্রপ্রতাপ সিংহের (৬-৯০) দুর্দান্ত সুইং বোলিং। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনের বিরুদ্ধে একেবারে ভেঙে পড়ে গুজরাত। শট বাছাইয়ে ভুল করে দিনের শেষে তারা ১০০-৪, মাত্র ৮২ রানে এগিয়ে। তিন উইকেট নিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার শাহবাজ নাদিম।
রাজকোটে আবার মুম্বইয়ের ত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন অধিনায়ক আদিত্য তারে (৮৩) এবং অভিষেক নায়ার (৫৮)। যাঁরা এই মরসুমে বারবার টিমকে বাঁচিয়েছেন। লোয়ার মিডল অর্ডারে ১২১ তুলে তাঁরা তামিলনাড়ুর প্রথম ইনিংসের স্কোর (৩০৫) টপকে যান। ন’নম্বরে শার্দূল ঠাকুরের (৫২) হাফসেঞ্চুরির সৌজন্যে লিড একশো পেরিয়ে যায়। ১৭১-৪ স্কোরে তৃতীয় দিন খেলা শুরু করে মুম্বইয়ের প্রথম ইনিংস থামল ৪০৬ রানে। এ দিন গোটা দিনই মুম্বই ব্যাট করল। ‘‘ওদের বোলিং আমাদের কিছুটা নড়িয়ে দিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু আমরা ঠিক করেছিলাম বুদ্ধি করে খেলব। যে বলগুলো জায়গায় আসবে, সেগুলো খেলব,’’ পরে বলেন তারে।
স্লো ওভার রেটের জন্য আবার একশো শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা দিতে হল তামিলনাড়ু অধিনায়ক অভিনব মুকুন্দকে। তাঁর সতীর্থদের পঞ্চাশ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: গুজরাত ৩৯০ ও ১০০-৪ (নাদিম ৩-৩৬), ঝাড়খণ্ড ৪০৮ (ইশাঙ্ক ১২৯, ঈশান কিষাণ ৬১, রুদ্রপ্রতাপ ৬-৯০)। মুম্বই ৪০৬ (তারে ৮৩, সূর্যকুমার ৭৩, বিজয় শঙ্কর ৪-৫৯), তামিলনাড়ু ৩০৫।