সমালোচকদের একহাত জোসের

শনিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিউক্যাসলের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ৩-২ জয়ের পরে মোরিনহোকে চাপমুক্তই দেখিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:২৯
Share:

সমালোচকদের একহাত নিলেল জোসে মোরিনহো

ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজার জোসে মোরিনহো মনে করেন, ফুটবলে এখন ‘বড্ড বেশি দুর্নীতি’। সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মানুষ খুঁজে তাকে আঘাত করার চেষ্টা সামলানোর ক্ষমতা আমার আছে।’’

Advertisement

শনিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিউক্যাসলের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ৩-২ জয়ের পরে মোরিনহোকে চাপমুক্তই দেখিয়েছে। তার আগে টানা চার ম্যাচ জেতেনি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। শোনা যাচ্ছিল, এ’সপ্তাহেই চাকরি হারাবেন পর্তুগিজ ম্যানেজার। যে কারণে ম্যাচের পরে ক্যামেরার সামনে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন জোসে, ‘‘জীবনে প্রথম মানুষের ক্ষতি করার এমন উদ্যোগ দেখছি। তবে এ সব সামলানোর ক্ষমতা আমার আছে।’’

রবিবারও পর্তুগিজ ম্যানেজারকে সমর্থকদের বিদ্রুপের মুখোমুখি হতে হয়েছে। বিশেষত প্রথমার্ধের শেষে। এর মধ্যেই একটি ট্যাবলয়েড খবর করে, রবিবারের ফল যাই হোক, চাকরি যাচ্ছে এই ম্যানেজারের। যদিও প্রচারমাধ্যমের অন্য অংশ তেমন কিছু ঘটার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিল। তবে মোরিনহো নিজেও যে কোণঠাসা ছিলেন সেটা বুঝিয়ে বলেছেন, ‘‘আজ সকালেই এক বন্ধু বলল, যদি কাল লন্ডনে বৃষ্টি হয়, তা হলেও লোকে আমাকে দায়ী করবে। যদি ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়, তা হলেও বলা হবে হয়েছে আমার জন্য।’’ তাঁর আরও কথা, ‘‘সবই মেনে নিয়েছি। এটাও বুঝছি, ফুটবলে দুর্নীতি বড্ড বেড়ে গিয়েছে। সঙ্গে বেড়েছে মানুষ খুঁজে অকারণে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা। তবে এটাই আমার জীবন।’’

Advertisement

এমনিতে, দর্শকদের মনোভাব যে ভালভাবে নেননি মোরিনহো তা তাঁর কথাতে স্পষ্ট, ‘‘প্রথমার্ধে ০-২ পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু সমর্থকেরা তখন যে ব্যবহার করছিল তা খুবই সুন্দর (মজা করে বলা। আসলে সমর্থকরা তখন মোরিনহোকে বিদ্রুপ করছিলেন)। চেলসির ম্যানেজার থাকার সময় অ্যানফিল্ডে লিভারপুলকে ৪-০ হারিয়েছি। অবাক হয়ে দেখেছিলাম, গোটা স্টেডিয়াম লিভারপুলকে উৎসাহ দিতে গান গেয়ে গেল। কিন্তু এখানে দেখুন কী অবস্থা! প্রথমার্ধে আমরা পিছিয়ে। সবাই জানে, জেতা দরকার। অথচ সমর্থকদের ব্যবহার দেখে সত্যিই স্তম্ভিত হয়ে যাই।’’

রবিবারই ম্যানেজারের ভূমিকায় মোরিনহো তাঁর ৪০০ তম জয় পেলেন। কিন্তু টেবলে ম্যান ইউ আট নম্বরে থাকায় তাঁর সেই নজির কেউ খেয়ালই করেনি। এমনিতে তাঁকে বরখাস্ত করার দাবি উঠছে এমন কথা কেউ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেননি। কিন্তু হাওয়া বুঝেছেন মোরিনহো। হয়তো তাই বলে গেলেন, ‘‘ওরা ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত আমার সঙ্গে চুক্তি করেছে। ওদের দিকে তো পিস্তল উঁচিয়ে দাঁড়াতে পারি না। ওরা চেয়েছে বলেই এই চুক্তিটা করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন