চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বোলাররা যে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন, তার ইঙ্গিত পাওয়া গেল সোমবার। লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচে। যখন পাঁচ ওভারের মধ্যে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ে উড়িয়ে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই পেসার— কাগিসো রাবাদা (৪-৩৯) এবং ওয়েন পার্নেল (৩-৪৩)। পাঁচ ওভারের মধ্যে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২০। চারটে উইকেট রাবাদার। যেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড। তাদের ইনিংস শেষ ১৫৩ রানে। সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় এবি ডিভিলিয়ার্সের টিম।
এই আগুনে স্পেলের পরে স্বাভাবিক ভাবেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হিসেবে অন্য কারও নাম ওঠেনি। পুরস্কার নিয়ে রাবাদা বলেছেন, ‘‘এখানে বল করতে পেরে দারুণ লাগল। আগের ম্যাচে লিডসে সে রকম কিছু করতে পারিনি। এখানে উইকেট থেকে কিছুটা সাহায্য পেয়েছি। বাউন্স ছিল। বল মুভও করেছে। আশা করছি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ভাল কিছু করতে পারব।’’
আরও পড়ুন: আতঙ্কের নয়, ইংল্যান্ডে মন্ত্র এখন বীরত্বের
রাবাদা খুশি হলেও ফেভারিট ইংল্যান্ডের সামনে কিন্তু কয়েকটা অস্বস্তিকর প্রশ্ন থেকে গেল। চোটের জন্য এই ম্যাচে বেন স্টোকস, মইন আলি খেলেননি। দেখা গেল, তাঁদের বাদ দিয়ে রীতিমতো ভঙ্গুর লেগেছে অইন মর্গ্যানের টিমকে। তাই হয়তো টিমকে সতর্ক করে দিয়ে মর্গ্যান বলছেন, ‘‘ফেভারিট তকমটা পেতে ভালই লাগে। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’’ অল্প রান তাড়া করতে হলেও তারই মধ্যে একটা রেকর্ড করে ফেললেন হাসিম আমলা (৫৫)। ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম সাত হাজার রান করার রেকর্ড। আমলা করলেন ১৫০ ইনিংসে। ভাঙলেন কোহালির ১৬১ ইনিংসের রেকর্ড।
এই ম্যাচ জিতে ডিভিলিয়ার্স বলেছেন, ‘‘ছেলেদের মরিয়া ভাবটা ভাল লেগেছে। আমরা প্রাথমিক কাজগুলো ঠিকঠাক করেছি। বল সুইং করছিল। এর সঙ্গে বাউন্সার মিশিয়ে ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলা গেল।’’