দলে সুযোগ মেলেনি, মিলল অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারের ঝুলন্ত দেহ

মহম্মদ জারিয়াব নামে অনূর্ধ্ব-১৯ এই ক্রিকেটার প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার আমির হানিফের পুত্র। নয়ের দশকের শুরুতে পাকিস্তানের হয়ে পাঁচটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন আমির হানিফ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৩৬
Share:

মর্মান্তিক: অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ না পেয়ে চরম রাস্তা বেছে নিলেন পাক ক্রিকেটার জারিয়াব।

মর্মান্তিক ঘটনা পাকিস্তান ক্রিকেটে। দলে সুযোগ মিলছে না—এই কারণ দেখিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন করাচির এক অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটার। যার ফলে শোকের ছায়া পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে।

Advertisement

মহম্মদ জারিয়াব নামে অনূর্ধ্ব-১৯ এই ক্রিকেটার প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার আমির হানিফের পুত্র। নয়ের দশকের শুরুতে পাকিস্তানের হয়ে পাঁচটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন আমির হানিফ। তাঁর পুত্র জারিয়াব পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করত করাচির হয়ে। কিন্তু সোমবার সকালে করাচির মালির এলাকায় তাঁর নিজের ফ্ল্যাটেই ছাদের সঙ্গে জারিয়াবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহে কোনও প্রাণ ছিল না।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে আমির হানিফ এ দিন প্রচারমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘সোমবার রাতেও আমার সঙ্গে নৈশভোজ সেরেছিল জারিয়াব। সেই সময়, সে অনেক বার ও বিড়বিড় করে বলছিল, ‘ক্রিকেটারদের কোনও মূল্য নেই। কেউ দাম দেয় না।’ সেই সময়ে বুঝতে পারছিলাম না ও কেন এই কথা বলছে।’’ হানিফ আরও বলেন, ‘‘কিন্তু এ দিন সকালে আমার ছেলের গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখে নিজেরাই হতবাক হয়ে গিয়েছি। ছেলের এই আত্মহত্যার ঘটনা মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’’

Advertisement

জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই করাচির অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ না পেয়ে মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত ছিল জারিয়াব। দু’মাস আগে করাচির জুনিয়ার দলের হয়ে লাহৌর সফর করেছিল সে। কিন্তু কাঁধে চোট রয়েছে জানিয়ে জারিয়াব-কে করাচিতে ফেরত পাঠিয়ে দেন দলের কোচ। এর পরেই মুষড়ে পড়েছিল এই জুনিয়ার ক্রিকেটার। সংবাদমাধ্যমকে সে কথা বলে হানিফ জানিয়েছেন, ‘‘গত কয়েক মাস ধরেই ও আমাদের বলত, করাচি অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ওকে কোনও গুরুত্ব দেন না কোচ। এমনকি যোগ্যতা সত্ত্বেও দলে সুযোগ মিলছে না। ক্রমে হতাশায় ডুবে যাচ্ছিল। আমার ছেলের মতো পরিণতি যেন কারও না হয়।’’

তবে এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করেননি হানিফ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মী জানিয়েছেন, ‘‘পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন