মিঠুনের হ্যাটট্রিক, বিজয় হজ়ারে সেরা কর্নাটক

ফিল্ডিংয়ের সময়ে উইকেটকিপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পরে ব্যাট হাতেও রান পেয়েছেন রাহুল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:২৯
Share:

চ্যাম্পিয়ন: ট্রফি নিয়ে উল্লাস কর্নাটকের ক্রিকেটারদের। শুক্রবার। টুইটার

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে তামিলনাড়ুকে ভিজেডি পদ্ধতিতে (ঘরোয়া ক্রিকেটে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে জয়-পরাজয় নির্ণয়ের পদ্ধতি) ৬০ রানে হারিয়ে বিজয় হজ়ারে ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হল কর্নাটক। এই নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় চার বার চ্যাম্পিয়ন হল তারা। শুক্রবার ঘরের মাঠ বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত ফাইনালে মণীশ পাণ্ডের দলের হয়ে জয়ের নায়ক কে এল রাহুল ও অভিমন্যু মিঠুন।

Advertisement

ফিল্ডিংয়ের সময়ে উইকেটকিপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পরে ব্যাট হাতেও রান পেয়েছেন রাহুল। পাশাপাশি ৯.৫ ওভার বল করে ৩৪ রানে হ্যাটট্রিক-সহ পাঁচ উইকেট নিয়ে কর্নাটকের এই জয়ের আর এক নায়ক অভিমন্যু মিঠুন। এ দিনই ছিল মিঠুনের জন্মদিন। আর তিনি তা স্মরণীয় করে রাখলেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ও ট্রফি জয়ের মাধ্যমে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এই প্রথম পাঁচ উইকেট পেলেন মিঠুন। পাঁচ উইকেট নিয়ে মিঠুন বলছেন, ‘‘প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ আজ দলে ছিল না। তাই দলের বর্ষীয়ান সদস্য হিসেবে আমাকে কিছু করে দেখাতে হত। শেষ পর্যন্ত তা করতে পেরেছি কঠোর পরিশ্রমের জন্যই।’’

শুরুতে ব্যাট করে তামিলনাড়ু অলআউট হয়ে গিয়েছিল ২৫২ রানে। জবাবে বৃষ্টি ভেজা ম্যাচে ২৩ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তুলে জিতে যায় কর্নাটক।

Advertisement

এ দিন টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কর্নাটকের অধিনায়ক মণীশ পাণ্ডে। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই তামিলনাড়ু ধাক্কা খায় অভিমন্যু মিঠুনের সামনে। ওপেনার অভিনব মুকুন্দ (৮৫) রান পেলেও মুরলী বিজয় (০) মিঠুনের বলে রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। রান পাননি আর অশ্বিনও। তবে মিডল অর্ডারে বাবা অপরাজিত (৬৬) ও বিজয় শঙ্কর (৩৮) রান পাওয়ায় সাময়িক স্বস্তি মিলেছিল তামিলনাড়ু ড্রেসিংরুমে। ২৩ বলে ২৭ রান করেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। কিন্তু কার্তিক আউট হওয়ার পরেই ধস নামে তামিলনাড়ু শিবিরে। ৪৫ ওভারের পরে মিঠুনের মিডিয়াম পেসের সামনেই ২৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় তামিলনাড়ু।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাঁচ ওভারের মাথায় ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে দেবদত্ত পাড়িক্কালের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল কর্নাটক। কিন্তু কে এল রাহুল (ন.আ ৫২) ও মায়াঙ্ক আগরওয়ালের (ন.আ. ৬৯) দাপটে ২৩ ওভারে ১৪৬ রান তোলে কর্নাটক। কিন্তু এর পরে বৃষ্টি নামায় ভিজেডি পদ্ধতিতে জয়ী ঘোষণা করা হয় কর্নাটককে।

চ্যাম্পিয়ন হয়ে কর্নাটক অধিনায়ক মণীশ পাণ্ডে বলছেন, ‘‘এই মরসুমে গোটা দলের মানসিকতাই ছিল সব ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তা শেষ পর্যন্ত সফল ভাবে করতে পারায় ভাল লাগছে।’’ অন্য দিকে, তামিলনাড়ু অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের মন্তব্য, ‘‘বিজয় হজ়ারে ট্রফির পুরোটা ভাল খেলে মাত্র একদিন পারফরম্যান্স ভাল না করতে পারার মাশুল গুনতে হল। তবে এই ম্যাচ রঞ্জি ট্রফি ও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় ভাল খেলার আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন