‘আসলে মাঝে মাঝে এ রকম হয়, সব কিছু ঠিক হয় না, আজ শেষে সে রকমই হল’

এই হার কেকেআরের কাছে প্লে-অফে ওঠার রাস্তা কিছুটা কঠিন করে তুলল। আর জিতে গত বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স লড়াইয়ে ফিরে এল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৮ ০৪:০৭
Share:

জুটি: মুম্বইকে জেতালেন যে দুই ভাই। ক্রুণাল ও হার্দিক পাণ্ড্য। ছবি: টুইটার

এমন যে হবে, তা কারও জানা ছিল না। কলকাতা নাইট রাইডার্সের পরিকল্পনাতেও তা ছিল না। রবিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শুভমান গিলকে ওপেন করতে দেখে তাই অবাক হয়ে যান অনেকেই।

Advertisement

তবে আসল কারণটি জানা গেল ম্যাচের পরে। কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সুনীল ১৮-১৯ ওভারে অসুস্থ বোধ করে। মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যায়। তাই ওকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ওপেন করতে পাঠানো হয়নি।’’

শুভমান ওপেন করতে নেমে সাত বলে পাঁচ রানের বেশি করতে পারেননি। ক্রুণাল পান্ড্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। এই ক্রুণালই শেষে আন্দ্রে রাসেলের দেওয়া দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে নাইটদের তুমুল চাপে ফেলে দেন। নারাইন সাত নম্বরে নেমে শেষ ওভারে মাত্র পাঁচ রান করে আউট হয়ে যাওয়ায় নাইটদের হার নিশ্চিত হয়ে যায়।

Advertisement

এই হার কেকেআরের কাছে প্লে-অফে ওঠার রাস্তা কিছুটা কঠিন করে তুলল। আর জিতে গত বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স লড়াইয়ে ফিরে এল। কেকেআরের (১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট) চারটি ম্যাচ বাকি। তার মধ্যে অন্তত তিনটিতে জিততেই হবে তাদের। অন্য দিকে মুম্বইয়ের (১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট) যে চারটি ম্যাচ বাকি, তার প্রতিটিই জিতলে প্লে-অফে যেতে পারে তারা।

শেষ দু’ওভারে ৩৭ রান দরকার ছিল কেকেআরের। এই রানটা তোলা অসম্ভব ছিল না, মনে করছেন কার্তিক। তবু তা না পারার জন্য মুম্বইয়ের বোলারদের কৃতিত্ব দেন তিনি। বিশেষ করে যশপ্রীত বুমরা। বলেন, ‘‘বুমরাকে সামলে নেব ভেবেছিলাম। উইকেটের বাউন্সকে কাজে লাগিয়ে ও যথেষ্ট ভাল বোলিং করেছে। তাও তো গোটা দুয়েক ছয় মেরেছি ওকে। শেষ ওভারে রানটা তোলার জন্য আমি তৈরি ছিলাম। তার আগের ওভারেই তো ১৪ রান করেছিলাম। আসলে মাঝে মাঝে এ রকম হয়। সব কিছু ঠিক হয় না। আজ শেষে সে রকমই হল। তবে বুমরা, হার্দিকরা আজ উইকেটের বাউন্সকে খুব ভাল কাজে লাগিয়েছে।’’

রাসেলকে এ দিন দশম ওভারে বল দেন কার্তিক। দ্বিতীয় বলেই তিনি তখন বিধ্বংসী মেজাজে থাকা এভিন লুইসকে ফিরিয়ে দেন। দু’ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে দু’উইকেট নেন রাসেল। পরে ফের ১৫ নম্বর ওভারে তিনি ডাক পান। এ বারও দ্বিতীয় বলে আর এক আগ্রাসী ওপেনার সূর্যকুমার যাদবকে কট বিহাইন্ড করেন। এমন বোলিং করেন যিনি, সেই রাসেলকে দিয়ে কেন পুরো ওভার বোলিং করানো হল না, তা জানতে চাইলে অধিনায়ক বলেন, ‘‘রাসেলকে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়াই হয়। ও আজ ভাল বোলিং করেছে। কিন্তু অন্য দিন ভাল ব্যাট করে। ওকে কোথায় বল করিয়ে ওর সেরাটা বার করে নিতে হবে, তা ঠিক করে নিতে হবে আমাদেরই।’’

অন্য দিকে ম্যাচের নায়ক হার্দিক পাণ্ড্য বলছেন, তিনি এখন ব্যাটিং অনুশীলন করা বন্ধই করে দিয়েছেন। রবিবার ২০ বলে ৩৫ করে অপরাজিত থাকার পাশাপাশি ২৯ রান দিয়ে দু’উইকেট নেন তিনি। ম্যাচের সেরা বাছা হয় হার্দিককেই। বলেন, ‘‘আমি বিশেষ কিছুই করছি না। কোনও কোনও দিন হয়ে যায়। ব্যাটিং অনুশীলনও ইদানীং করি না আমি। মাঠে সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। একটা ছয় মারলেই ছন্দ চলে আসে।’’ মুম্বই শিবিরে প্রত্যেকেই যে প্লে-অফে ওঠা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, তাও জানিয়ে দেন হার্দিক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন