বৃষ্টি থেকে চোট-আঘাত— এ সব সমস্যাই যেন এখন প্রধান প্রতিপক্ষ কেরল ব্লাস্টার্স এবং নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের!
সচিন তেন্ডুলকরের টিমের মার্কি ফুটবলার স্প্যানিশ বিশ্বকাপার কার্লোস মারচেনা চোট পেয়ে আইএসএল শুরুর আগেই নিজের দেশে ফিরে গিয়েছেন। কেরল কোচ পিটার টেলর এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বললেন, ‘‘মারচেনার পিঠে চোট। তবে চিন্তার কিছু নেই। ও স্পেনে ওর পরিচিত ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য গিয়েছে। প্রথম ম্যাচ খেলতে না পারলেও, আশা করছি ১৩ অক্টোবর কলকাতার সঙ্গে ম্যাচের আগে ও ফিট হয়ে চলে আসবে এবং খেলবেও।’’
উল্টোদিকে আবার নর্থ-ইস্টের মার্কি ফুটবলার সিমাও সাব্রোসারও চোট রয়েছে। অন্তত প্রথম দু’ম্যাচ পর্তুগিজ মিডিওকে পাওয়া যাবে না। যে কারণে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন নর্থ-ইস্টের কোচ সিজার ফারিয়াস। তিনি আবার বলেছেন, ‘‘প্রথম দু’ম্যাচে সিমাওকে কোনও ভাবেই পাওয়া যাবে না। তবে পুরো ফিট হয়ে ও দ্রুত টিমে যোগ দেবে।’’
এই পরিস্থিতিতে দুই দলই প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে যে বেকায়দায়। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে বৃষ্টি। প্রচণ্ড বৃষ্টির জেরে ম্যাচের আগের দিন অর্থাৎ সোমবার প্র্যাকটিসই করতে পারেননি কেরল এবং নর্থ ইস্টের ফুটবলাররা। পিটার টেলর বলছিলেন, ‘‘শুনেছি এই সময় এখানে মাঝে মাঝেই এ রকম বৃষ্টি হয়। গত বছর প্রথম দিকে চার-পাঁচটি অ্যাওয়ে ম্যাচ ছিল বলে সমস্যা হয়নি। ম্যাচের আগে মাঠ শুকিয়ে খেলার উপযুক্ত হলে ভাল হয়।’’
গত বছর কেরল ফাইনালে আটলেটিকো দে কলকাতার কাছে হেরে গিয়েছিল। এ বছর তাই যেন বাড়তি তাগিদ মেহতাব হোসেনদের। তবে এ বছর ইয়ান হিউমের মতো ফুটবলারকে ধরে রাখতে না পারার খেসারত কেরলকে দিতে হবে কি না, তা নিয়ে নানা জল্পনা রয়েছে। এ সব নিয়ে অবশ্য বিশেষ মাথা ঘামাচ্ছেন না কেরলের ব্রিটিশ কোচ। মেহতাব হোসেনদের কোচ পিটার টেলর উল্টে দাবি করেছেন, ‘‘ফুটবলে যা খুশি হতে পারে। তবে ঘরের মাঠে যে হেতু প্রথম ম্যাচ, তাই জয় ছাড়া কিছু ভাবছি না।’’
জন আব্রাহমের টিম প্রথম আইএসএলে লাস্ট বয় ছিল। এ বার তাই তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি মর্যাদার লড়াইও। তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার মিশেলে পাহাড়ি টিমটি নজর কাড়বে বলে অনেকে মনে করছেন। আশাবাদী সঞ্জু প্রধানদের কোচ। ‘‘আমাদের সব পজিশনে দক্ষ ফুটবলার রয়েছে। এ বার কিন্তু নর্থ-ইস্টের অন্য লড়াই দেখবে সবাই,’’ কার্যত চ্যালে়ঞ্জ ছুড়ে বলে দিলেন ফারিয়াস।