ছবি: সংগৃহীত।
তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ ভাবে শেষ হওয়ার দিকে এগোচ্ছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। শেষ চারে কোন কোন দল জায়গা করে নেবে তা নিয়ে এখন দুর্দান্ত লড়াই হচ্ছে।
বেঙ্গালুরু এফসি ইতিমধ্যেই শেষ চারে যাওয়া নিশ্চিত করে ফেলেছে। অঙ্কের হিসেবে আটলেটিকো ডে কলকাতা, নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি, দিল্লি ডায়নামোস ছাড়া বাকি সব দলেরই কিন্তু শেষ চারে ওঠার সুযোগ রয়েছে এখনও। অবশ্য এর মধ্যে কয়েকটা দল শেষ চারে ওঠার দৌড়ে কিছু হলেও এগিয়ে।
এর মধ্যে এফ সি গোয়া হাত কামড়াতে পারে শেষ পাঁচটা ম্যাচে জয় না পাওয়ায়। এ বার আইএসএলের মাঝামাঝি পর্যায়ে কিন্তু গোয়াকেই পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে থাকার দাবিদার মনে হচ্ছিল। এখন অবশ্য ছবিটা পাল্টে গিয়েছে। হয়তো প্রত্যাশার চাপে পড়ে গিয়েছিল ওরা। সামনে বেশ কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে এফ সি গোয়ার। তাই একটা করে ম্যাচ ধরে ওদের এগোতে হবে।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, হিউমের চোটের জন্য কেরল ব্লাস্টার্স সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ হারাল। হিউম গোলের মধ্যে যেমন ছিল, তেমনই প্রচুর সুযোগও তৈরি করছিল। যেটা ওর নিজের এবং কেরল ব্লাস্টার্সের পারফরম্যান্সকে ছন্দে আসতে সাহায্য করছিল। কিন্তু হিউমের চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় কেরলের খেলা কিছুটা ছন্নছাড়া লাগছে। যেটা হয়তো শেষ চারে ওঠার পথে ওদের সামনে প্রধান বাধা হয়ে উঠতে পারে।
এখন কেরলের শেষ চারে ওঠার জন্য বেঙ্গালুরুতে অ্যাওয়ে ম্যাচে জেতাটাই যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি অন্য টিমদেরও খারাপ ফলের জন্য প্রার্থনা করতে হবে কেরলকে আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে। এতটা আশা করাটা হয়তো বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।
এ বার টুর্নামেন্টে হয়তো সবচেয়ে চমকপ্রদ ম্যাচ জেতানো গোলটা করেছে মুম্বই সিটি এফসি-র লুসিয়ান গোয়াইন। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র বিরুদ্ধে ওই ম্যাচটায় আত্মঘাতী গোল করে প্রতিপক্ষকে এগিয়ে দেওয়ার পরে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে জেতায় লুসিয়ান। এই জয় ওদের শেষ চারে যাওয়ার দৌড়ে আবার ফিরিয়ে আনে। দিল্লি ডায়নামোসের বিরুদ্ধে ওদের পরবর্তী ম্যাচ এখন মরণ-বাঁচনের হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ম্যাচটা না জিতলে মুম্বই সিটি এফসি-র পরবর্তী ম্যাচ মানে চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে দ্বৈরথ নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াবে। দিল্লি ডায়নামোস কিন্তু অন্যের সুযোগ নষ্ট করতে কম যায় না। এ রকম দল সব সময়ই বিপজ্জনক।