ছয় ম্যাচ হয়ে গেল। টুর্নামেন্টের প্রায় মাঝ পথে চলে এলেও এখনও পর্যন্ত সেই ভাবে জ্বলে উঠতে পারিনি আমরা। কিন্তু মোটিভেশন ও খিদের কোনও অভাব নেই পুরো টিম। সব ম্যাচে আমরা আরও আরও উন্নতি করার চেষ্টা করছি।
গত সপ্তাহটা আমাদের ভাল-মন্দ মিলিয়ে ছিল। শুরুতেই মুম্বইয়ে মুম্বই সিটি-র বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ। এই ম্যাচে দু’টো টিমই সমান গোলের সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু আটোসাঁটো ডিফেন্স ও রিচার্লসনের একটা দুর্দান্ত গোলের সৌজন্যে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করি আমরা। এই জয়টা আমাদের খুব দরকার ছিল। আমরা এ-ও আশা করেছিলাম, এটাই হয়তো আমাদের টার্নিং পয়েন্ট। যেখান থেকে আমরা আবার পয়েন্ট টেবলের উঁচুর দিকে উঠতে পারব।
মুম্বইয়ের পরেই ছিল আমাদের ‘মিশন কেরল’। শুরুটাও বেশ ভাল করেছিলাম। প্রথম হাফে জুলিও সিজারের গোলে আমরা এগিয়ে যাই। ঘরের মাঠ, এক গোলের লিড— তিন পয়েন্ট তোলার আদর্শ মঞ্চ। কিন্তু দুর্ভাগ্য, বিরতির পরেই গোল হজম করে ফেলি আমরা। ওই গোলে টিমে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এবং ম্যাচ যত শেষের দিকে এগোয়, ততই ক্লান্ত হয়ে পড়ি আমরা। নিটফল, আরও এতটা গোল হজম আমাদের। যে জায়গায় ছিলাম, সেখান থেকে এ রকম পরিস্থিতি কখনওই কাম্য নয়। এই হারের ফলে পরের দিল্লি ডায়নামোস ম্যাচ জেতা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই আমাদের।
তবে রেজাল্ট যাই হোক না কেন, আমি এখনও আত্মবিশ্বাসী। কেন না আমরা প্রথম চারের থেকে খুব একটা দূরে নেই। দু’টো ম্যাচ জিততে পারলে আমরা আবার ট্র্যাকে ফিরে আসব। আটলেটিকো দে কলকাতা হল কামব্যাকের সেরা উদাহরণ। গোটা টুর্নামেন্টে ওরাই একমাত্র টিম যারা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে আকর্ষণীয়। মাত্র একটা হেরে ওরা পয়েন্ট টেবলে সবার উপরে।
মুম্বই সিটি-ও এমন আর একটা টিম যারা এই টুর্নামেন্টে অনেক উতরাই-চরাই দেখেছে। কিন্তু ওরাও প্রথম চারটে টিমের মধ্যে একটা। তাই আমার মনে হয়, এখান থেকে সব টিমের আসল পরীক্ষা শুরু। যে টিম সবচেয়ে বেশি ধারাবাহিকতা দেখাবে এবং ম্যাচের দিন নিজেদের নার্ভ ধরে রেখে মাঠে সেরাটা দেবে, তারাই তিন পয়েন্ট পাবে। যে চারটে টিম লিগের নীচের দিকে আছে তারা এই মুহূর্তে শুধু একটা জয় দূরে। প্রথম চারে জায়গা পাকা করা থেকে। আমার বিশ্বাস, এফ সি গোয়াই সেই টিম।
(গেমপ্ল্যান)
ড্র হয়ে গেল দক্ষিণ ভারতের ডার্বি
শেষ পর্যন্ত অমীমাংসিত থেকে গেল আইএসএলের দক্ষিণ ভারত ডার্বি। টানটান উত্তেজনার মধ্যে শনিবার ঘরের মাঠে কেরল ব্লাস্টার্সের সঙ্গে ০-০ ড্র করল চেন্নাইয়ান। ফলে লিগ টেবলে যেখানে ছিল সেখানেই থেকে গেল দুই দল। ছ’ ম্যাচের পর নয় পয়েন্ট নিয়ে মাতেরাজ্জির চেন্নাইয়ান লিগ তালিকায় রয়ে গেল চারে। উল্টোদিকে চেন্নাইয়ের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে কেরলের পয়েন্টও নয়। গোল পার্থক্যে পঞ্চম স্থানে রইলেন মেহতাবরা।