গাব্বায় অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টেই ১০ উইকেটে হারের পরে মাঠের বাইরেও তাঁদের সেই বিখ্যাত ‘বাগ্যুদ্ধ’ শুরু করে দিল অস্ট্রেলিয়া। যাতে আগামী শনিবার অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টের আগেই আরও কুঁকড়ে থাকে ইংল্যান্ড।
যার নমুনা হিসেবে কোথাও স্টিভ স্মিথ-দের কোচ ড্যারেল লেম্যান হুঙ্কার ছাড়লেন, ‘‘অ্যাডিলেডের পিচ অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে দ্রুততম। আরও শর্ট বল হবে।’’
ঝামেলার জল গড়িয়েছে কমেন্ট্রি বক্সেও। যেখানে চার বছর আগে যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার মিচেল জনসন এবং ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেনের সম্পর্ক যে এখনও স্বাভাবিক হয়নি, তা-ও বেরিয়ে এল প্রথম টেস্ট শেষ না হতেই। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে শেষমেশ কেপি টুইটারে ‘ব্লক’-ই করে দিলেন প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল জনসনকে।
এরই মাঝে আবার ইংল্যান্ড সরগরম বেন স্টোকস-কে নিয়ে। যিনি এই মুহূর্তে গিয়েছেন নিউজিল্যান্ডে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে। ইংল্যান্ডেরই কোনও কোনও মহলের আগাম পূর্বাভাস, তৃতীয় টেস্ট থেকেই ইংল্যান্ড দলে দেখা যেতে পারে স্টোকস-কে। সব মিলিয়ে প্রথম টেস্ট শেষ হতে না হতেই জমজমাট অ্যাশেজ।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে রায়নাকে দারুণ উপহার সচিনের, শুভেচ্ছা টুইটারেও
তবে এরই মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার মিচেল জনসনকে টুইটারে প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক কেভিন পিটারসেনের ব্লক করে দেওয়া। এমনিতেই খেলোয়াড় জীবনে দু’জনের সুসম্পর্ক ছিল না। তার উপর এর আগে ২০১৩-১৪ সিরিজে যখন ইংল্যান্ড অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিল, তখন এই দুই ক্রিকেটার মাঠের মধ্যেই তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। চলতি অ্যাশেজ সিরিজে পিটারসেন এবং মাইকেল ভন ধারাভাষ্য দিতে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। আর এই দু’জনকে দেখেই টুইটারে প্রথম টিপ্পনি কাটেন জনসন। টুইটারে তিনি কেপি এবং ভন-কে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ‘কেপি, মাইকেল ভন গতকাল বলছিল ইংল্যান্ড বোলাররা নাকি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারে। দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পরেও তো ওদের মিডিয়াম পেসারদের মতো বল করতে দেখলাম।’
এর পরেই পাল্টা টুইট করেন পিটারসেন। যেখানে তিনি লেখেন, ‘মিচেল, এই টুইট তোমার না তোমার ম্যানেজমেন্টের। যদি তুমি এটা করে থাক, তা হলে থামো। কারণ এটা ক্রিকেটের স্পিরিট নয়। আর যদি তোমার ম্যানেজমেন্ট এটা করে থাকে, তা হলে ওদের বরখাস্ত কর’। যা দেখে মিচেল জনসন রসিকতা শুরু করলে পিটারসেন ব্লক করে দেন তাঁকে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
তবে এরই মাঝে ইংল্যান্ড ক্রিকেট মহলে নতুন নাটক শুরু হয়েছে বেন স্টোকস-কে নিয়ে। মঙ্গলবারই জানা গিয়েছে, সাসপেনশনের আওতায় থাকা স্টোকস নিউজিল্যান্ডে গিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে। পরে এও শোনা যায়, পুলিশ-তদন্তে দোষী সাব্যস্ত না হলে স্টোকস-কে অস্ট্রেলিয়া পাঠানো হতে পারে। তারই প্রস্তুতি হিসেবে স্টোকস নাকি গিয়েছেন নিউজিল্যান্ডে। সোমবার বেশি রাতে স্টোকসকে হিথরো বিমানবন্দরে দেখার পরেই দ্রুত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। স্টোকসকে নিয়ে উঠতে থাকে নানা কথা।