কলকাতা নাইট রাইডার্স সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। টুর্নামেন্টের রান তালিকায় প্রথম পঁচিশ জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে কিন্তু কেকেআরের কেউ নেই। মাঝেমধ্যে আন্দ্রে রাসেল, রায়ান টেন দুশখাতে বা সূর্য যাদব ওদের বাঁচিয়ে দিয়েছে। যে ম্যাচে ওপেনিং জুটিতে একশো উঠল, সে দিনও কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানরা তেমন কিছু করতে পারেনি। কোনও মতে জয়ের রানটা তুলতে হয়েছিল।
এখন তো ওরা নকআউটে উঠেই গিয়েছে। তাই সোমবারের ম্যাচে এই ব্যাপারটা নিয়ে খাটতে পারে নাইটরা। বিপক্ষ ডলফিন্সের জন্য মাছ-ভর্তি একটা সমুদ্রের ব্যবস্থা করুক ওরা। টুর্নামেন্টে তিনটে ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত একটা ম্যাচও জিততে পারেনি ডলফিন্স। ওদের সুবিধে করে দিতে পারলে নিজেদের ব্যাটসম্যানদেরও জোর করে ভাল ফর্মে টেনে তুলতে পারে কেকেআর। নকআউটে ওদের লড়াই হতে পারে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। যাদের ব্যাটিং প্রচণ্ড শক্তিশালী। দলের সবার দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তাই জরুরি।
ডলফিন্সের সুবিধে হবে যদি কেকেআর তাদের প্রধান শিকারিদের বিশ্রাম দেয়। বিপজ্জনক সুনীল নারিনের নেতৃত্বে ওদের টিমের তিন জন স্পিনার ওভার-পিছু ছ’রানেরও কম দিয়েছে। সব মিলিয়ে নিয়েছে ১৩ উইকেট। নিজের ইকনমি নিয়ে নিজের হাসির মতোই কৃপণ নারিন। ওকে কিন্তু তুলোয় মুড়ে রাখা দরকার। না হলে ব্যাটসম্যানরা লড়াইয়ের সুযোগই পাবে না।
টুর্নামেন্টে ডলফিন্সকে বাঁচানো এখন অসম্ভব। কিন্তু ওদের টিমের কয়েক জন প্লেয়ারের কাছে সবার নজর কাড়ার এটাই শেষ সুযোগ। বিশেষ করে কাইল অ্যাবট। ওকে দেখে মনে হচ্ছে ও এমন এক জন পেসার, কিছু কিছু আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি যাকে কাজে লাগাতে পারে। ইনিংসের শেষের দিকে ওর বোলিং প্রচণ্ড স্মার্ট। ইয়র্কারগুলো একদম ঠিক অ্যাঙ্গলে রেখে যেতে পারে কাইল। যার জন্য ব্যাটসম্যানরা শট নেওয়ার জায়গাই পায় না। আর এক জন হল রবি ফ্রাইলিঙ্ক। লাহৌর লায়ন্সের বিরুদ্ধে একটা দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিল রবি। বারোটা বলের মধ্যে ছিল ছ’টা ওভার বাউন্ডারি।
সূক্ষ্ন এ সব ট্যাকটিক্যাল জিনিসের বাইরে সোমবারের ম্যাচটা অর্থহীন। এই ম্যাচের ফলাফল দিয়ে গ্রুপ ‘বি’-তে কোনও পার্থক্যই হবে না। সমস্যা তো চেন্নাই আর লাহৌরের মধ্যে। এক দিন পরের ম্যাচে পারথের বিরুদ্ধে যদি লাহৌর বড় ব্যবধানে জিততে পারে, তা হলে এমএসডি আর ওর ছেলেদের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শেষ। কিন্তু যদি চেন্নাই সেমিফাইনালে উঠে যেতে পারে, সব চোখ ওদের উপরই থাকবে।