সন্দেহ নেই টানা তিনটি ম্যাচ জিতলাম। কিন্তু তিন বারই দারুণ ভাবে লড়াইয়ে ফিরতে হল। অথচ এমনটা হওয়ার কথাই না। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আগাগোড়া আমাদের হাতেই থাকার কথা।
অনেকেই আমাকে বলেছিল, সানরাইজার্স অন্তত দু’শো রানের লক্ষ্য আমাদের সামনে খাড়া করবে। কিন্তু ‘ডেথ’ ওভারে আমরা যা বল করলাম তা সত্যিই বিরল। শুধু এই ম্যাচটায় নয়, প্রতিযোগিতাতেই। আর শেষ ম্যাচটায় তো সানরাইজার্সকে ৩০ বলে ৩১ রানের বেশি করতে দিলাম না। এটা একটা দারুণ ব্যাপার।
টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কখনও কখনও স্বতঃস্ফূর্ততা শেষ কথা বলে যায়। অবশ্য তার মানে এই নয় যে, কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই একটা দল সফল হবে। আমার তো মনে হয় স্ট্র্যাটেজি একটা বিরাট ব্যাপার। বিপক্ষের প্রতিটি ক্রিকেটারের জন্য আলাদা আলাদা পরিকল্পনা নিতে হয়। যখন তা কাজে লেগে যায় তখন একটা তৃপ্তির অনুভূতি আসতে বাধ্য। আবার এটাও ঘটনা যে সব সময় সব পরিকল্পনা কাজে আসে না। আসে না বলেই, বার বার লড়াইয়ে ফেরার দরকার পড়ে, লক্ষ্য সহজ হলেও রান তাড়া করতেই হয়। কিন্তু নকআউটে এসে এটা অন্য রকম চাপের হয়ে যায়। ঠিক সাধারণ লিগ ম্যাচের মতো নয় ব্যাপারটা। আমরা সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে অবশ্য আর একটা দারুণ শুরু করলাম। এবং রান তাড়া করার সময়ও আমাদের ছেলেরা ভয়ে কেঁপে যায়নি। এটাই তো চাই।
ফিরে পাওয়া জয়ের ছন্দ আর আগ্রাসনটাই রাজস্থানের বিরুদ্ধে আমরা ধরে রাখতে চাই। সত্যি কথা বলতে, প্রতিপক্ষ কে হবে তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা ছিল না। পাশাপাশি রাজস্থান হয়তো ভাবছে, প্রতিযোগিতায় ওরা দ্বিতীয় জীবন পেয়েছে। এবং এটাই ভয়ের কারণ। আমি জানি, এ বার খুব ভাল কিছু করার জেদ নিয়েই ওরা নামবে। আমাদের একটাই কাজ। মাথা ঠান্ডা রেখে চাপের মধ্যে হলেও নিজেদের সেরা খেলা দিয়ে যাওয়া। আর নিজেদের মাঠে খেলার সুবিধাটা তো পাবই। ইডেনের সব দর্শকও আমাদের সঙ্গে খেলবে।