ভিড় বাড়ছে যুবভারতীতে।—নিজস্ব চিত্র।
শহরের রাস্তায় পতপত করে উড়ছে সবুজ-হলুদ পতাকা। চিরকালই কলকাতা মেতেছে ফুটবলে। তার উপর এমন পরে পাওয়া চোদ্দ আনা ম্যাচ পেলে তো কথাই নেই। যারা ফাইনালের টিকিট না পেয়ে হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন তাদের কাছে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর একটা বড় সুযোগ দিয়ে দিল গুয়াহাটির মাঠ। কিন্তু সেমিফাইনালের কলকাতাও ভাসল বৃষ্টিতে। সেই বৃষ্টি মাথায় করেই সকাল থেকে স্টেডিয়ামের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেছিল মানুষ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই যেন স্বস্তি। স্বস্তি ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনেও। যাক বাবা, ‘আবার ম্যাচ সরে যাবে না।’
আরও খবর
আজ প্রথম গোল খেলে চলবে না পাওলিনহোদের
আজ শহরের রঙ বদলে হয়ে গিয়েছে সবুজ-হলুদ। এমনটা ফুটবলের জন্য অতীতে কলকাতা দেখেছে। লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুন পতাকায় বার বার ঢেকেছে কলকাতা। ফুটবলের জোয়ারে ভেসেছে বাংলার মানুষ। কিন্তু এ ভাবে ব্রাজিলের জন্য স্টেডিয়াম ভরে উঠবে তা কে বুঝেছিল। যদিও ফুটবল বিশ্বকাপে সব সময়ই কলকাতা দু’ভাগ। ব্রাজিল এবং আর্জেন্তিনা। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি মেসির দেশ। যে কারণে ঘরের মাঠের মতই অনুভূতি পাচ্ছে ব্রাজিল। আজও হোম গ্রাউন্ডে খেলবে ব্রাজিল। তাই যেন গুয়াহাটি থেকে ম্যাচ কলকাতায় সরে আসায় যেন স্বস্তি ব্রাজিল শিবিরে।
স্টেডিয়ামের বাইরের দীর্ঘ লাইনের শেষটা খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর। পরে আসা সমর্থকরা কোথায় দাঁড়াবে বুঝেই উঠতে পারছেন না। কিন্তু দারুণভাবে তৎপর পুলিশ। প্রতিমুহূর্তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। কাতারে কাতারে মানুষের মধ্যেও কোনও উত্তেজনা নেই। বিক্রি হচ্ছে ব্রাজিলের রিস্ট ব্যান্ড, পতাকা, ফেট্টি। তার চাহিদাও তুঙ্গে। লাইনে দাঁড়িয়েই সবাই সবার মাথায় ফেট্টি বেঁধে দিচ্ছে। যেন ফুটবল উৎসবে মেতেছে কলকাতা।
আরও খবর
প্রতিদান দিতে আরও মরিয়া পাওলিনহোরা
দুপুরে দেড় ঘণ্টার বৃষ্টি আর সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় স্টেডিয়াম জুড়ে থাকা সব বিশ্বকাপের প্ল্যাকার্ড হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি থামতেই সব আবার যথাস্থানে। ইতিমধ্যেই গ্যালারি ভরতে শুরু করেছে সঙ্গে ব্রাজিল ব্রাজিল চিৎকার। তার মধ্যেই স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়ল ব্রাজিল ও ইংল্যান্ডের টিম বাস। জানলা দিয়ে এমন সমর্থন দেখে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়েই ফাইনালে লক্ষ্যে নামবে ব্রাজিল।