উল্লাস: গোল করার পরে এমবাপের কাঁধে অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া। ছবি: রয়টার্স।
জুইগাম্প ১ • পিএসজি ৩
রাশিয়ায় বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সের স্মৃতি আজও টাটকা। এ বার ফরাসি লিগ ওয়ানেও সেই সুবাস ফিরিয়ে আনলেন কিলিয়ান এমবাপে। ফ্রান্সের উনিশে পা রাখা বিস্ময় প্রতিভা প্যারিস সাঁ জারমাঁর হয়ে লিগে নিজের প্রথম ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে নেমেও খেলার শেষ আট মিনিটে জোড়া গোল করে চমকে দিয়ে গেলেন। পিএসজি ৩-১ হারাল জুইগাম্পকে। গোল পেলেন নেমার দা সিলভা স্যান্টোসও (জুনিয়র)। সেটা অবশ্য পেনাল্টি গোল। খেলার ৫২ মিনিটে ব্রাজিলীয় মহাতারকা ১-১ করেন। তার আগে খেলার ২০ মিনিটে জুইগাম্পের নোলান রু ১-০ করে দিয়েছিলেন।
বিশ্বকাপে মোট চার গোল করা এমবাপেকে গত সপ্তাহে কানের বিরুদ্ধে বিশ্রাম দিয়েছিলেন পিএসজি কোচ। এ দিন নামেন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। বিশ্বকাপে ফিফার বিচারে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ফুটবলার ভারতীয় সময় শনিবার রাতে প্রথম গোল করেন ৮২ মিনিটে। জুইগাম্পের সুইডিশ গোলরক্ষক কার্ল জোহান জনসনের ডান দিকে একেবারে নিখুঁত প্লেসিংয়ে গোল। দলের তৃতীয় গোলও চমকপ্রদ। আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে লব করে।
এ দিন খেলার ৫৩ মিনিট পর্যন্ত সমানে সমানে পাল্লা দিয়েছিল জুইগাম্প। এমনকি তার পরেও বেশ কয়েক বার আক্রমণে ঝড় তোলে। কিন্তু সব কিছুই ম্লান হয়ে গেল এমবাপের প্রতিভার কাছে। প্রসঙ্গত এ দিনও পিএসিজ-র গোলরক্ষা করলেন বিখ্যাত ইতালীয় গোলরক্ষক জানলুইগি বুফন।
এ দিকে, নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে যে পিএসজি-তে নেমারের গুরুত্ব অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারেন এমবাপে। এমনিতে ব্রাজিলীয় তারকা ঠান্ডা মাথায় পেনাল্টি গোল করা ছাড়াও এমবাপেকে দিয়ে দ্বিতীয় গোলটি করিয়েছেন শনিবার। হঠাৎ শুরু হওয়া এ হেন আলোচনা নিয়ে এমবাপে অবশ্য বলেছেন, ‘‘নেমার মহানায়ক। আমার চেয়ে অনেক এগিয়ে। বার্সেলোনাতেও সেটা প্রমাণ করে এসেছে।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘আজও নিজে গোল করেছে। আমাকে দিয়ে করিয়েছেও। মোটেই এটা খারাপ পারফরম্যান্স নয়। আর আমি আমার মতো চেষ্টা করেছি দলকে জেতাতে।’’ বিশ্বকাপ নিয়েও প্রশ্ন করা হলে এমবাপের জবাব, ‘‘আমরা জিতেছি। উৎসবও করেছি। কিন্তু ফুটবল নিজের মেজাজে এগিয়ে যাবে। তবে বিশ্বকাপে আর ক্লাবের হয়ে এত দিনে যা যা করতে পেরেছি তাতে আমি খুশি। কিন্তু এখনও অনেক কাজ বাকি আছে। তাই চুপচাপ বসে থাকার সুযোগ নেই।’’