জুটির বয়স আশি হলেও মনে আমরা কিন্তু আঠারো: লিয়েন্ডার

বিশ্বের এক নম্বর অ্যান্ডি মারেকে বছর দুই আগেও র‌্যাঙ্কিংয়ে হাজারের উপরে থাকা কোনও এক মিসচা জেরেভ হারানোর পর অস্ট্রেলীয় ওপেন প্রায় মেনে নিয়েছে পুরনো দিনের সার্ভ-ভলি টেনিস আবার ফিরে এসেছে। এই মতাবলম্বীদের মধ্যে বরিস বেকার, জন ম্যাকেনরোর মতো ভারী নামও রয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মেলবোর্ন শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩৬
Share:

কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে হিঙ্গিস-লিয়েন্ডার। ছবি: এএফপি

বিশ্বের এক নম্বর অ্যান্ডি মারেকে বছর দুই আগেও র‌্যাঙ্কিংয়ে হাজারের উপরে থাকা কোনও এক মিসচা জেরেভ হারানোর পর অস্ট্রেলীয় ওপেন প্রায় মেনে নিয়েছে পুরনো দিনের সার্ভ-ভলি টেনিস আবার ফিরে এসেছে। এই মতাবলম্বীদের মধ্যে বরিস বেকার, জন ম্যাকেনরোর মতো ভারী নামও রয়েছে। বেকার তো এই বাজারে ফেডেরার বনাম নাদাল ফাইনালের সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। মজার ব্যাপার হল, মেয়েদের ফাইনালেও সে রকম একটা ‘ওল্ড স্কুল টেনিস’ লাইন আপের যথেষ্ট সুযোগ আছে মেলবোর্ন পার্কে। উইলিয়ামস বোনেদের মধ্যে ফের একটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল! সেরিনা বনাম ভিনাস।

Advertisement

কোয়ার্টার ফাইনাল সূচি দেখলে ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। পুরুষ সিঙ্গলসে ফেডেরারের দিকে তবু বিশ্বের চার নম্বর ওয়ারিঙ্কা আছেন। পোড়খাওয়া সঙ্গা-ও। নাদাল তো শেষ আটেই মুখোমুখি এই মুহূর্তে টুর্নামেন্টে টিকে থাকা সর্বোচ্চ বাছাই রাওনিকের (৩)। মেয়েদের সিঙ্গলসে সেখানে ড্র-এর দু’অর্ধে থাকা ভিনাস বা সেরিনার এই মুহূর্তের প্রতিপক্ষরা কেউ আর যা-ই হোন, অপরাজেয় নন। প্লিসকোভা, মুগুরুজা, কন্টারা বাছাই হতে পারেন কিন্তু উইলিয়ামস বোনেরা নিজেদের দিনে এঁদের এখনও হারাতে সক্ষম।

সোমবারই তো পঞ্চম বাছাই প্লিসকোভা, ন’নম্বর কন্টা যেমন স্ট্রেট সেটে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন, দ্বিতীয় বাছাই সেরিনাও সে রকমই দাপুটে ৭-৫, ৬-৪ স্ট্রাইকোভাকে হারিয়ে শেষ আটে পা দিলেন। পুরুষ সিঙ্গলসে নিজেদের মধ্যে মুখোমুখি হওয়ার আগের ম্যাচ নাদাল আর রাওনিক আবার জিতলেন একই ভঙ্গিতে। ৩-১ সেটে। কানাডিয়ান রাওনিক চতুর্থ রাউন্ডে রবের্তো অগাটকে হারাতে যদি দ্বিতীয় সেট খুইয়ে থাকেন, তা হলে ফ্রান্সের মঁফিসকে হারাতে গিয়ে নাদাল হাতছাড়া করেছেন তৃতীয় সেট। নৈশালোকের রড লেভার এরিনায় চোদ্দো গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক নাদালের ম্যাচের আগে দিনের সেশনে সেন্টার কোর্টের গ্যালারি অবশ্য একটা মিক্সড ডাবলস ম্যাচ নিয়ে সমান উত্তেজিত ছিল!

Advertisement

যে দ্বিতীয় রাউন্ড জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল গত বারের চ্যাম্পিয়ন ইন্দো-সুইস জুটি লিয়েন্ডার পেজ-মার্টিনা হিঙ্গিস। স্থানীয় অস্ট্রেলীয় জুটি কেসি ডেলাকুয়া-ম্যাট রিড গোড়ার দিকে দর্শক সমর্থন পেলেও ২-৬, ৩-৬ উড়ে যাওয়ার পথে আবিষ্কার করেন, গ্যালারি পুরোপুরি অন্য দিকে ঢলে পড়েছে। হিঙ্গিস সিঙ্গলস কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট, ছয়-একের মার্কিন মেয়ে ভ্যান্ডেওয়েগকে নিয়ে ডাবলসে দ্বিতীয় রাউন্ডেই ছিটকে গিয়েছিলেন টিম ডেলাকুয়া-র কাছে। মিক্সডে তার বদলা তুলতে দুর্দান্ত সাহায্য পেলেন তেতাল্লিশের চিরসবুজ ভারতীয়ের।

তিনি— লিয়েন্ডার ম্যাচ শেষে বলেন, ‘‘মার্টিনার ২২টা গ্র্যান্ড স্ল্যামের প্রায় অর্ধেকই তো এখানে জেতা। এমনিতেই মার্টিনা এক জন অলটাইম গ্রেট প্লেয়ার। আর অস্ট্রেলীয় ওপেনে তো আইকন! ওর সঙ্গে তাই এখানে যখনই কোর্টে পা রাখি অদ্ভুত একটা অনুভূতি হয়। প্রচণ্ড অনুপ্রাণিত হই। আর আজ তো আমরা যেখানে খেললাম সেই কোর্টটাও ছিল ঐতিহাসিক। কিংবদন্তির নামে। জানেন তো, আজ সকালে প্র্যাকটিসে আমার রিটার্ন ঠিক হচ্ছিল না। মার্টিনার একটা টিপস-এ ম্যাচে সেই সব সমস্যা বেমালুম উধাও! আমরা পরস্পরকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করি। কোর্টের মতো কোর্টের বাইরেও। একে অন্যের কাছ থেকে এখনও শিখি। সেটার কারণ কী জানেন? আমাদের বয়সের যোগফল ৮০ হলেও দু’জনেই মনে করি যখন মরব, তখনও আমরা মনের দিক থেকে আঠারো থাকব!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন