ধাক্কা খেয়েও সোনা জিতলেন লিলি

কিছু দিন আগে পাতিয়ালায় ফেড কাপে দৌড়তে গিয়ে অন্য রাজ্যের অ্যাথলিটদের ধাক্কায় ট্র্যাকের মধ্যেই পড়ে দিয়ে পদক খুঁইয়েছিলেন লিলি। অন্তত সে রকমই অভিযোগ ছিল ত্রিবেণীর সোনার মেয়ের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৭ ০৪:২৭
Share:

পাতিয়ালার শিক্ষা কাজে লাগল গুন্টুরে। জোড়া সোনার মালিক হয়ে গেলেন লিলি দাশ।

Advertisement

উনিশ বছর বয়সে সিনিয়র পর্যায়ে নেমে এই কৃতিত্ব বাংলার কোনও অ্যাথলিট শেষ কবে পেয়েছেন মনে করতে পারছেন না কোনও কোচ বা কর্তা। লিলিকে অবশ্য চমকপ্রদ সাফল্যে পেতে স্ট্র্যাটেজি বদলাতে হল। ছিঁড়তে হল চক্রান্তের জালও।

কিছু দিন আগে পাতিয়ালায় ফেড কাপে দৌড়তে গিয়ে অন্য রাজ্যের অ্যাথলিটদের ধাক্কায় ট্র্যাকের মধ্যেই পড়ে দিয়ে পদক খুঁইয়েছিলেন লিলি। অন্তত সে রকমই অভিযোগ ছিল ত্রিবেণীর সোনার মেয়ের। মঙ্গলবার আন্তঃ রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিটের শেষ দিনে পনেরোশো মিটারে দৌড়নোর সময় পিছন থেকে লিলিকে ফের ল্যাং মারার চেষ্টা করেছিলেন তাঁর সঙ্গে দৌড়তে থাকা উত্তরপ্রদেশের প্রমীলা ও পিনু। তাদের সঙ্গে ছিলেন কেরলেও চিত্রাও। অন্তত সোনা জিতে উঠেও সে রকমই অভিযোগ করলেন বাংলার সোনার মেয়ে। তা সত্ত্বেও ট্র্যাকের লেন বদল করে এবং শেয ল্যাপে গতিতে হারিয়ে সোনা জেতেন কল্যাণ চৌধুরীর ছাত্রী। ট্রেনে চেপে রাতে কলকাতায় ফেরার পথে জোড়া সোনা জেতা মেয়ে অভিযোগ করলেন, ‘‘ওঁরা তো আমার চেয়ে অনেক সিনিয়র। তাই দু’তিনজন মিলে এক জোট হয়ে চেষ্টা করছিল আমাকে ফের ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার। কনুই দিয়ে গুতো মারছিল বারবার। খুব মারামারি হচ্ছিল। আমি পাতিয়ালার মতো ভুল করিনি। এ বার সতর্ক ছিলাম। ওঁরা কী করতে চাইছে সেটা নজর করে লেন বদলে, গতি বাড়িয়ে শেষ ল্যাপে প্রথমে চলে গিয়েছিলাম বলেই সোনা জিতলাম।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: শাস্ত্রীয় মতে বোলিং কোচ ভরত, জাহিরদের নিয়ে ধোঁয়াশা

সামান্য চোট ছিল তা সত্ত্বেও ৪ মিনিট ২৮ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে সোনা জিতলেন তিনি। এর আগে ৮০০ মিটারেও সোনা ছিল লিলির। রং মিস্ত্রির মেয়ে বর্তমানে সল্টলেক সাইয়ের ছাত্রী লিলি অবশ্য বললেন, ‘‘১৫০০ মিটারে সময়টা ভাল হয়নি। কিন্তু জোড়া সোনা দরকার ছিল আমার। চক্রান্ত করে এ বার ওঁরা সফল হয়নি বলে আরও ভাল লাগছে।’’ লিলির জোড়া সোনা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরে বাংলার হয়ে এ দিন জোড়া রুপো জিতলেন ডিসকাস থ্রো-তে ঝুমা বসু এবং ১০০ মিটারে হিমশ্রী রায়। দুটো ব্রোঞ্জও পেলেন স্বপ্না বর্মন ও দেবাঞ্জন মুর্মু।

সব মিলিয়ে বাংলা পেল দশটি পদক। দু’টি সোনা, তিনটি রুপো এবং পাঁচটি ব্রোঞ্জ। বাংলা পেতে পারত মেয়েদের রিলের দুটো সোনাও। কিন্তু জ্বর ও শরীর খারাপ থাকায় দেবশ্রী মজুমদার, অন্বেষা রায় প্রধানরা নামতে পারেননি ট্র্যাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন