‘লন্ডন ডার্বিতে আকর্ষণের কেন্দ্রে দুই চাণক্যের লড়াই’

ফুটবলজীবনে দু’বার ইংল্যান্ডে গিয়েছি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ স্টেডিয়ামে বসে দেখার অভিজ্ঞতা হয়নি। কিন্তু ফুটবল নিয়ে ইংল্যান্ডবাসীর উন্মাদনা দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম।

Advertisement

আই এম বিজয়ন

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৩
Share:

যুযুধান: মোরাতা বনাম স্যাঞ্চেজ। কে হাসবে শেষ হাসি?

বড়দিনের দু’দিন আগে লা লিগা এল ক্লাসিকোয় লিওনেল মেসির অবিশ্বাস্য ফুটবল দেখেছিলাম। এ বার ইংরেজি বছরের শুরুতেই আর একটা ধুন্ধুমার ম্যাচ।

Advertisement

আর্সেন ওয়েঙ্গার বনাম আন্তোনিও কন্তে— বিশ্বের অন্যতম দুই সেরা কোচের মগজাস্ত্রের লড়াই।

ফুটবলজীবনে দু’বার ইংল্যান্ডে গিয়েছি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ স্টেডিয়ামে বসে দেখার অভিজ্ঞতা হয়নি। কিন্তু ফুটবল নিয়ে ইংল্যান্ডবাসীর উন্মাদনা দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম। কলকাতা ফুটবলে ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ডার্বিকে কেন্দ্র করেই শুধু উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কিন্তু ইপিএলে সব ম্যাচেই প্রবল উত্তেজনা। আর লন্ডনের দুই ক্লাব চেলসি ও আর্সেনাল মুখোমুখি হলে তো একেবারে মহারণের আবহ। লিগ টেবলে কে কোথায় আছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয় এই ম্যাচে। যেমন এ বারের ইপিএলে।

Advertisement

২১ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি তৃতীয় স্থানে। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে আর্সেনাল। শীর্ষে থাকা ম্যাঞ্চেস্টার সিটি এই মুহূর্তে যে রকম ফর্মে আছে, তাতে এই দুই দলের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন হওয়া কঠিন। কিন্তু এই ম্যাচটা হচ্ছে দুই দলের ফুটবলার, কর্তা ও সমর্থকদের কাছে মর্যাদার লড়াই।

ইপিএলে এ বারের লন্ডন ডার্বির গুরুত্ব হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে। সম্ভবত আর্সেনালের জার্সি গায়ে শেষ লন্ডন ডার্বিতে খেলতে নামছে মেসুত ওজিল এবং অ্যালেক্সিস স্যাঞ্চেস। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই চিলি তারকার যোগ দেওয়ার কথা ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে। অনেকে হয়তো ভাবছেন, ডার্বিতে এই দুই ফুটবলার কি আদৌ নিজেদের সেরাটা দেবে। আমার মনে কোনও সংশয় নেই। ওরা পেশাদার ফুটবলার। আর পেশাদাররা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সব সময় সচেতন থাকে। তা ছাড়া বিদায়ী ম্যাচে নায়ক হওয়ার তাৎপর্যই আলাদা। পুরোটাই অবশ্য নির্ভর করছে ওয়েঙ্গারের উপর। ওজিল পুরো সুস্থ নয়। আর স্যাঞ্চেজকে প্রথম একাদশে রাখবেন কি না সেটা নির্ভর করছে ওয়েঙ্গারের সিদ্ধান্তের ওপরে। তবে খেললে সব চেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন কন্তে। যদি খেলে, সেক্ষেত্রে কন্তেকে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলবে ওজিল, স্যাঞ্চেস-ই। তাই আর্সেনাল ঘরের মাঠে ডার্বি জিতলেও আমি অবাক হব না। যদিও জয়ের পরে একজনকে অন্তত হতাশ দেখাবে। তিনি, আর্সেনাল ম্যানেজার। ওয়েঙ্গার তো চেলসি ম্যাচের আগে বলেই দিয়েছেন, ওজিল এবং স্যাঞ্চেসের শূন্যস্থান পূরণ করা সহজ নয়।

লন্ডন ডার্বিতে আরও একটা আকর্ষণ স্যাঞ্চেস বনাম আলভারো মোরাতা দ্বৈরথ। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে এ বছরই চেলসিতে সই করেছে স্প্যানিশ তারকা। শুরুতে খুব একটা ছন্দে ছিল না। এখন মোরাতাই প্রধান ভরসা কন্তের। এ ছাড়া এডেন অ্যাজার তো আছেই।

ইপিএলে লন্ডন ডার্বি নিয়ে লিখতে লিখতে আই লিগ ও আইএসএলের কথা হঠাৎ মনে পড়ে গেল। মঙ্গলবার দিল্লিতে ইন্ডিয়ান অ্যারোজকে হারিয়ে লিগ টেবলে শীর্ষ স্থান দখল রেখেছে আমার পুরনো ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। তবে আমার আর এক প্রাক্তন ক্লাব মোহনবাগান ঘরের মাঠে চেন্নাই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে হেরে যাওয়ায় কিছুটা হতাশ। আজ, বুধবার আইএসএলে এটিকে নামছে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। এটিকের জিতলে হয়তো মোহনবাগানের হারের যন্ত্রণা কিছুটা ভুলতে পারব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement