ওভালে অনেক কিছুর জন্য খেলতে নামবে ভারত। সিরিজটা ওরা বাঁচিয়ে দিতে পারে। দু’একটা সেঞ্চুরি করতে পারে। জেমস অ্যান্ডারসনকে বশে আনতে পারে। মইন আলিকে মাটিতে টেনে নামাতে পারে। আশা করছি ভারতীয়দের ক্যাচিংয়ের উন্নতি দেখব। লর্ডসে যেখানে শেষ করেছিল সেখান থেকে শুরু করতে পারবে ইশান্ত শর্মা। আর এ সব কিছু হলে শেষ দুটো টেস্টকে শুধুই এক ধরনের বিরতি বলে মনে হবে।
এমন একটা অভিযান শুরু করতে হবে সঠিক সৈন্যদের নিয়ে। ইশান্ত দলে ফিরলে পঙ্কজ সিংহ নিজের ক্ষতে মলম লাগানোর সুযোগ পাবে। আমি হলে শিখর ধবনকেও টিমে ফেরাতাম। অবশ্য গৌতম গম্ভীরকে যখন সুযোগ দেওয়া হয়েছে, ওকে এই টেস্টটা খেলানোই যায়। রোহিত শর্মাকে যে শুধু একটা টেস্ট খেলানো হল, তার যন্ত্রণা চেপে রাখা ছাড়া ওর কিছু করার নেই।
এটা বেশ পরিষ্কার যে, ভারতীয়রা নিজেদের পোশাকে খুব বেশি বদল আনবে না। তবে যেটা হতে পারে তা হল, ওদের জীর্ণ, মলিন চেহারাগুলো কিছুটা ঝকঝকে হতে পারে। পাঁচ দিন খুব লম্বা সময়, তাই ওদের এনার্জি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আর শুধু একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। জেতার ভাবনা। যদি ভারত সফল হতে পারে, তা হলে আসন্ন ক্রিকেট মরসুমের চেহারাটাই পাল্টে যাবে।
এই মুহূর্তে ভারতের এক জন ব্যাটিং অভিভাবক দরকার। যে কাজটা প্রথম দুটো টেস্টে মুরলী বিজয় করে দিয়েছিল। অজিঙ্ক রাহানে ছিল তরুণ রোল মডেল। এই দু’জন মিলে যা ব্যাট করেছিল, তাতে পূজারা-বিরাট কোহলিদের বিশেষ মনে পড়েনি। তবে এখন সবাই সাহায্যের জন্য একে অন্যের দিকে তাকানো শুরু করেছে। যেটা দরকার সেটা সংঘবদ্ধ আক্রমণ।
ভুলে যাবেন না, ভারত বড় রান তুলে দিতে পারলে কিন্তু ছবিটা পুরো বদলে যাবে। ওটাই চাবিকাঠি। ওটাই সব কিছু বদলে দেয়। বোলাররা কী ফিল্ড পাবে, ওরা কোন লাইনে বল করবে, ফিল্ডিং ক্যাপ্টেনের হাতে ক্যাচ নেওয়ার কী কী বিকল্প আছে সব। বোর্ডে কত রান তুলতে পারল, তার উপরই নির্ভর করবে ভারতের আশার ডুবে যাওয়া বা ভেসে থাকা।