যন্ত্রণা: বের্নাবাউ-তে সুপার কাপে চোট পাওয়ার পর সুয়ারেজ।ছবি: রয়টার্স
ফুটবল ঈশ্বরের খারাপ সময়টা কাটছে না। প্রথমে ঘরের মাঠে ১-৩ হারতে হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের কাছে। দ্বিতীয় পর্বে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ছাড়াই বার্সেলোনাকে দু’গোল দিয়ে গেল রিয়াল। এতেই শেষ নয়। মাঠে মাথা গরম করে গালাগালি দেওয়ার অভিযোগও উঠল লিওনেল মেসির বিরুদ্ধে।
স্প্যানিশ প্রচারমাধ্যমের অভিযোগ, মেসির সঙ্গে ঝামেলা লাগে রিয়াল অধিনায়ক সের্জিও র্যামোসের। একটা ফ্রি-কিক দ্রুত নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন মেসি। র্যামোস প্রথমে বলটা ধরে মেসির দিকে এগিয়ে দেন। মেসি যে-ই হাত বাড়িয়েছেন, তখনই বলটা আর্জেন্তিনীয় মহাতারকার মাথার ওপর দিয়ে ছুড়ে দেন র্যামোস। যা দেখে উত্তেজিত মেসি নাকি অত্যন্ত অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন র্যামোসকে।
এ তো গেল একটা দিক। বার্সেলোনার দুঃস্বপ্ন সুপার কাপের হার দিয়েই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। ম্যাচের শেষে আরও খারাপ খবর অপেক্ষা করেছিল বার্সা ভক্তদের জন্য। ডান হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। পরে জানা যায়, অন্তত চার সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন উরুগুয়ের এই ফুটবলার। মরসুমের শুরুতেই এই বিপর্যয়ের পরে বার্সা সমর্থকেরা কাঠগড়ায় তুলেছে ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেপ বার্তেমেউ-কে। তাঁর অপসারণের দাবি ক্রমশ জোরদার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে শপথ কামোর, আজ গোল করবোই
বার্সেলোনায় যখন অন্ধকার, তখন চিরশত্রু ক্লাবে চলছে উৎসব। বিশেষ করে ম্যানেজার জিনেদিন জিদানকে নিয়ে। বুধবার রাতে তিনি প্রথম একাদশে নিজের সেরা ফুটবলারদের রাখেননি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এমনিতেই সাসপেন্ড ছিলেন। গ্যারেথ বেল-কে নামাননি জিদান। প্রথম একাদশের বাইরে ছিলেন ইস্কো, ক্যাসেমিরোও। কিন্তু তা সত্ত্বেও জিততে সমস্যা হয়নি রিয়ালের। সুপার কাপ জিতে জিদান বলেছেন, ‘‘আমার এই দলটা দুর্দান্ত। আপনি যখন প্রথম এগারোর চার জন ফুটবলারকে বদলে টিম নামান এবং তা সত্ত্বেও টিম দারুণ খেলে জেতে, তখন কোচ হিসেবে খুব তৃপ্ত লাগে।’’
মরসুমের শুরু থেকেই দুরন্ত ফর্মে রিয়াল। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ জেতার পাশাপাশি এ বার বার্সেলোনাকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ তাদের দখলে। জিদান বলছেন, ‘‘অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন, এই জয় দু’টো খুব সহজে এসেছে। কিন্তু ঘটনা তা নয়। এর পিছনে রয়েছে ফুটবলারদের রোজকার পরিশ্রম এবং মানসিকতা। এই দলটার জেতার খিদে খুব। টিমটা মাঠে নামলেই সেটা বোঝা যায়।’’
পাশাপাশি অবশ্য টিমের ফুটবলারদের সতর্কও করে দিচ্ছেন জিদান। তিনি বলেছেন, ‘‘এটা ফুটবল। এখানে সব দিন সমান যায় না। আমাদের যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে।’’