সুব্রতর মতোই এ বার চমক রয়েছে প্রীতম কোটালের দামে।
ডোপ বির্তকে জড়িয়ে পড়লেও ‘স্পাইডারম্যানের’ দাম একটুও কমেনি। নিলামের তালিকায় থাকা গোলকিপারদের মধ্যে সুব্রত পালের দাম সবচেয়ে বেশি। ৮৭ লাখ টাকা!
আনাস এডাথোডিকা এবং ইউজেনসিন লিংডো— এই দুই ফুটবলারকে এক বছরের জন্য দলে নিতে হলে দিতে হবে এক কোটি দশ লাখ টাকা করে। নিজেদের দাম সে রকমই রেখেছেন ওঁরা।
রবিবার মুম্বইতে নিলামের জন্য ১৮৫ জন ফুটবলারের নামের পাশে টাকার অঙ্ক দিয়ে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে আই এস এলের দশ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে, তাতে প্রচুর চমক আছে। বড় চমক অবশ্যই কলঙ্ক-মুক্ত সুব্রত। আনাস ও লিংডোর পর সবথেকে দামি সোদপুরের মিষ্টুই। চার ফ্র্যাঞ্চাইজি ইতিমধ্যেই কিপার নিয়ে নিয়েছে। ফলে আরও ছয় জন বিক্রি হবেন নিলামে। সেখানে আইজলের কিপার অ্যালবিনো গোমসকে বাদ দিলে বঙ্গসন্তান কিপারদের রমরমা। অরিন্দম ভট্টাচার্য, শুভাশিস রায় চৌধুরীর সঙ্গে তালিকায় রয়েছে সন্দীপ নন্দী, সঞ্জীবন ঘোষ, অভ্র মণ্ডলরা।
আরও পড়ুন: দলটা অধিনায়কের, ক্রিকেটাররাই আসল, বলছেন শাস্ত্রী
সুব্রতর মতোই চমক রয়েছে প্রীতম কোটালের দামে। আতলেতিকো দে কলকাতা তাঁকে না নিলেও সুব্রত-র পর এই সাইডব্যাকের দামই সবচেয়ে বেশি। ৭৫ লাখ। কিপারদের মতো দেশীয় স্ট্রাইকারদের যে অভাব রয়েছে সেটা বলবন্ত সিংহ এবং রবিন সিংহের মতো দ্বিতীয় সারির দামেই বোঝা যাচ্ছে। দু’জনেরই দাম রাখা হয়েছে ৬৫ লাখ করে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, আইজলের যে দুই ফুটবলারের বাজার দর তুঙ্গে ছিল বলে প্রচার চলছিল, সেই আশুতোষ মেহতা ও জয়েশ রানের বাজার খুব খারাপ। আশুতোষের দর ৪৫ লাখ আর জয়েশের ৪৯। বরং এদের টপকে গিয়েছেন মেহতাব হোসেন, ৫০ লাখ দাম রাখা হয়েছে তাঁর জন্য। তুলনায় নিজের দাম কম রেখেছেন শৌভিক চক্রবর্তী। দেশের ধারাবাহিক এই মিডিও-র দাম ৪৫ লাখ। সেখানে লালরিন্দিকা (৪৮ লাখ), জ্যাকিচাঁদ (৫৫ লাখ), হরমনজিৎ খাবরা (৫৭ লাখ), প্রণয় হালদার (৫৮ লাখ) নারায়ণ দাশের (৫৮ লাখ) মতো গতবারের অনিয়মিত ফুটবলাররা নিজেদের দাম বাড়িয়ে রেখেছেন। গত বছর আই লিগ বা আই এসএলে না খেলা বা অনিয়মিত গৌরমাঙ্গী সিংহ, থই সিংহ, বিক্রমজিৎ সিংহ-সহ বেশ কিছু ফুটবলারও বড় দাম হেঁকেছেন।
কোটির অঙ্ক ছুঁলেন ইউজেনসিন লিংডো এবং আনাস এডাথোডিকা।
সুনীল ছেত্রী, দেবজিৎ মজুমদার, জেজে লালপেখলুয়ার মতো ফুটবলাররা ইতিমধ্যেই চুক্তি করে ফেলেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে। কেউ দু’বছর, কেউ তিন বছর। জামসেদপুর এফ সি এবং দিল্লি ডায়নামোস কোনও ফুটবলার এখনও নেয়নি। যা হিসাব তাতে এখনও পর্যন্ত ২২ জন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে বাকি আট টিম।
নিয়মানুযায়ী কমপক্ষে ১৫ জন এবং সর্বাধিক ১৮ জন করে ভারতীয় ফুটবলার নিতেই হবে দশ টিমকে। যার মধ্যে আবার দু’জন হবেন অনূর্ধ্ব ২১। এবং দেশীয় ফুটবলারের জন্য খরচ করা যাবে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। ফলে অনেক ফুটবলারই বড় দাম হেঁকে চিন্তায় রয়েছেন আদৌ বিক্রি হবেন কি না ভেবে। যা দেখা যাচ্ছে, ১৮৫ জনের তালিকা থেকে পড়ে থাকবেন অন্তত চল্লিশ জন।
নিলামে কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি কোন টেবলে বসবেন তা ঠিক হবে শনিবার লটারি করে। শুরুর তিন রাউন্ডে শুধু অংশ গ্রহণ করবেন জামসেদপুর, দিল্লি এবং পুণে। পরে অন্যরা যোগ দেবেন। হাতে ফুটবলার তালিকা আসার পর সব টিমের মালিকই কোচের সঙ্গে বসে অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন বা করবেন বলে ঠিক করেছেন। এটিকে কোচ টেরি শেরিংহ্যাম আজ শনিবার সকালে শহরে এসেই টিম নিয়ে বসছেন কর্তাদের সঙ্গে।