লিয়েন্ডার পেজ
মহেশ ভূপতির সঙ্গে তাঁর যাই হয়ে থাকুক তাতে দু’জনের কারও দোষ নেই। বলছেন লিয়েন্ডার পেজ। কোর্টে তাঁদের রসায়ন বিশ্বসেরা। কিন্তু কোর্টের বাইরে তাঁদের শত্রুতায় ক্রমশ যেন চাপা পড়ে গিয়েছে সেই সাফল্য। যার জন্য ডেভিস কাপ বা অলিম্পিক্স প্রস্তুতিও কম ঝামেলার মুখে পড়েনি। কিন্তু দু’জনের মধ্যে ঠিক কী সমস্যা, তা নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। তবে এত দিন পরে লিয়েন্ডারের মনে হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে কী সমস্যা সেটা খোঁজার কোনও অর্থ হয় না।
‘‘মহেশ আর আমি একেবারে আলাদা দু’টো মানুষ। আমাদের চিন্তা-ভাবনা, মানসিকতা, বন্ধুত্ব করার ধরন আলাদা। আমরা জীবনটা কাটাই নিজেদের মতো করে। তবে এটা বলব না আমাদের মধ্যে এক জন ঠিক আর অন্য জন ভুল। কেন না আমরা দু’জনে কেউই পুরোপুরি ঠিক বা ভুল নই,’’ একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন লিয়েন্ডার। সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘আমাদের দু’জনেরই নিজস্ব স্টাইল আছে। তবে দু’জনেই নিজেদের চেষ্টায় যা অর্জন করেছি তার জন্য পরস্পরকে সম্মান করি। এই সম্মানটা সব সময় থাকবে। ওর সঙ্গে জুটিতে আমি যে জায়গায় পৌঁছেছি তার জন্য আমি লোকটাকে সব সময় সম্মান করব।’’
তবে যতই শত্রুতা থাক তিনটে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের কীর্তি, মহেশের সঙ্গে উইম্বলডন ডাবলসে শেষ পয়েন্ট জেতার মুহূর্তটা যত্ন করে স্মৃতিতে রেখে দিয়েছেন লি। যেটা তাঁর পরের মন্তব্যে স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘‘জুনিয়র উইম্বলডন খেলার সময় ১৯৯০-এর জুনে আমি মহেশকে বলেছিলাম আমরা এক দিন বিশ্বসেরা হতে পারি একসঙ্গে। মহেশ হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল। কেন না তখন ও জুনিয়রের মূলপর্বেও ওঠেনি। আমরা সে সময় রুম শেয়ার করতাম।’’
পরে যখন সেই স্বপ্নের মুহূর্তটা সত্যি হল তখন কেমন লাগছিল? লিয়েন্ডার বলেন, ‘‘ম্যাচ পয়েন্ট জেতার পর (১৯৯৯ উইম্বলডন ডাবলস ফাইনাল) যখন আমি মহেশের দিকে তাকালাম আমাদের অভিব্যক্তির ফারাকটা ছিল দেখার মতো। একটা ছেলে (লিয়েন্ডার) যে গোড়া থেকেই জানে এটাই তাঁর জীবনের পথ, সে সেই জায়গাটায় সে পৌঁছে গিয়েছিল। আর অন্য ছেলেটাকে (মহেশ) দেখে মনে হচ্ছিল যেন বিশ্বাসই করতে পারছে না সে কী করে ফেলেছে।’’