মালির গোলমুখি আক্রমণ। —নিজস্ব চিত্র।
মালি ৩ (সালাম, দেমুসা, এনদিয়ায়ে)
নিউজিল্যান্ড ১ (স্প্রাগ)
দুই অর্ধের মাঝে দু’টো জল পানের বিরতি। দিল্লি যুব বিশ্বকাপের আসরে এই প্রথম দেখা গেল এমন দৃশ্য। এতদিন ৪৫ মিনিট খেলার পরই বিরতি মিলেছে। কিন্তু আজ যেন গরমটা একটু বেশিই ছিল। বেশি ক্লান্ত লাগছিল নিউজিল্যান্ডের ফুটবলারদের। তার মধ্যেই দুই অর্ধ মিলে হল চার গোল। তিনটি গোলই এল দ্বিতীয়ার্ধে। তার মধ্যে মালির দুটো নিউজিল্যান্ডের একটি।
আরও পড়ুন
কলকাতার মাটিতে বাঁশি মুখে ছেলেদের বিশ্বকাপে প্রথম মহিলা রেফারি
মালির জয় যখন প্রায় নিশ্চিত তখনই এক গোল শোধ নিউজিল্যান্ডের। তার পরই পর পর আক্রমণ। যদিও তৎপর ছিল মালির রক্ষণ। গোল হজমের ঠিক আগেই মালির শট পোস্টে না লাগলে ৩-০তে এগিয়ে থাকতে পারত বলিউড প্রেমীরা। একগোলের ব্যবধান ধরে রাখা বেশ কঠিন। তাই গোল হজমের পর থেকেই কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ল মালি। এই ব্যবধান ধরে রাখতে পারলেই শেষ ১৬ নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের। মালির হাতে রয়েছে তিন পয়েন্ট। নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট এক। যে জিতবে সেই চলে যাবে প্রি-কোয়ার্টারে। এমন অবস্থায় খেলতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল আফ্রিকার এই দেশ। যার ফল ১৮ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়া।
মালি-নিউজিল্যান্ড ম্যাাচের একটি মুহূর্ত।
সালাম জিদৌয়ের গোলে এগিয়ে গেলেও প্রথমার্ধে আর গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি মালি। ২৭ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে পর পর তিনবার গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করে মালির ফরোয়ার্ডরা। নিউজিল্যান্ড গোলকিপারের হাতেও বার কয়েক আটকে যায় মালির গোলের প্রচেষ্টা। এর পরই পোস্টে লেগে ফেরে বল। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলেই। যেখানে প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল সেখান থেকেই শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধ। ৫০ মিনিটে দেমুসা ত্রাওরের গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় মালি। দ্বিতীয়ার্ধেও মালির জন্য অপেক্ষা করছিল পোস্ট। জোড়া পোস্ট না হলে ৫-১ গোলে জিততে পারত তারা। জোড়া গোলে এগিয়ে যাওয়ার আত্মতুষ্টির মধ্যেই নিউজিল্যান্ডের হয়ে গোল করে যায় চার্লস স্প্রাগ। গোল হজম করে আবার খেলায় ফেরে মালি। ৮২ মিনিটে ৩-১ করে মালির লাসানা এনদিয়ায়ে। গ্রুপের শেষ ম্যাচ জিতে শেষ ১৬ পাকা করে নিল মালি।