Narendra Modi proud of Girls

মন কি বাত: ‘তিন কন্যে’র গর্বে গর্বিত প্রধানমন্ত্রী

যে দেশে কন্যাভ্রূণ হত্যা আজও বন্ধ করা যায়নি। যে দেশে মেয়েরা আজও সুরক্ষিত নয় ঘরে বাইরে। সেই দেশের মেয়েরাই বিশ্বের দরবারে দেশকে এনে দিয়েছে সাফল্য। গর্বিত করেছে দেশকে। আর সেই মেয়েদেরই প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলে দিলেন, ‘‘তোমরা দেশের মেয়ে’’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৬ ১৮:২১
Share:

যে দেশে কন্যাভ্রূণ হত্যা আজও বন্ধ করা যায়নি। যে দেশে মেয়েরা আজও সুরক্ষিত নয় ঘরে বাইরে। সেই দেশের মেয়েরাই বিশ্বের দরবারে দেশকে এনে দিয়েছে সাফল্য। গর্বিত করেছে দেশকে। আর সেই মেয়েদেরই প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলে দিলেন, ‘‘তোমরা দেশের মেয়ে’’। এবার রিও অলিম্পিক্সে দুটো পদকই এসেছে মেয়েদের হাত ধরে। কুস্তিতে সাক্ষী মালিকের ব্রোঞ্জ ও ব্যাডমিন্টনে পিভি সিন্ধুর রুপো দেশের মান রেখেছে শেষ পর্যন্ত। যাঁদের ঘিরে স্বপ্নের সাঁকো তৈরি করেছিল ভারত তাঁরা সবাই ফিরেছেন ব্যর্থ হয়ে। এই মেয়েদের কুর্নিশ জানালেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘যে দুটো পদক আমরা পেয়েছি সেটা এনেছে দেশের মেয়েরা। অন্য মেয়েরা পদক না পেলেও দারুণ সফল। সবাই প্রমাণ করে দিয়েছে কারও থেকে পিছিয়ে নেই মেয়েরা।’’

Advertisement

কোচ গোপীচাঁদের সঙ্গে রিওতে রুপো জয়ী ব্যাডমিন্টন তারকা পিভি সিন্ধু।

শুধু সিন্ধু, সাক্ষী নন এই তালিকায় রয়েছেন দীপা কর্মাকারও। রবিবার তাকেও সম্বর্ধিত করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের তিন প্রান্ত থেকে উঠে আসা তিন মেয়ে। মোদী বলেন, ‘‘ওরা এসেছে উত্তর ভারত, দক্ষিণ ভারত ও উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে। তার মানে দেশের মেয়েরা দেশকে গর্বিত করতে তৈরি।’’ বাকি অ্যাথলিটদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে যাঁরা পদক পাননি তাঁরাও নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন রিওতে।

Advertisement

দেশে পৌছনোর পর কুস্তিতে প্রথম পদকজয়ী মহিলা অলিম্পিয়ান সাক্ষী মালিক।

দীপা পদক না পেলেও তাঁর প্রশংসা করতে পিছপা হননি প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘‘এই প্রথম দীপার হাত ধরে অলিম্পিক্সে জায়গা পেল ভারত। ৩৬ বছর পর অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করল মহিলা হকি দল। পিটি উষার পর অ্যাথলিট ওপি জৈশা ম্যারাথনের যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল।অভিনব বিন্দ্রা চতুর্থ হয়েছে। বিকাশ যাদব নিজের সেরাটা দিয়েছে।’’ এর পাশাপাশি ভারতীয় পুরুষ হকি দলেরও প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘‘জয়ী দল আর্জেন্তিনা একমাত্র হেরেছিল ভারতের কাছেই।’’

পদক জেতেননি। কিন্তু জিতে নিয়েছেন গোটা বিশ্বের মন। দেশে ফিরে সম্বর্ধনার জোয়ারে ভাসলেন জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার।

ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রকে আরও উন্নত করতে ইতিমধ্যে টাস্কফোর্স তৈরি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যে কমিটি নজর রাখবে দেশের খেলাধুলোর উন্নতিতে। মোদী সব রাজ্যকে অনুরোধ জানিয়েছেন, পছন্দ অনুযায়ী যে কোনও দুটো খেলাকে বেছে নিয়ে এগিয়ে যেতে। বলেন, ‘‘ভাল সময় আসছে। কিন্তু এটা তখনই সম্ভব হবে যখন আমাদের মানসিকতার বদল হবে। আমরা সেই চেষ্টাই করছি।’’ দেশের মানুষের কাছে মোদীর আবেদন, ‘‘মানসিকতা বদলে সন্তানদের খেলতে পাঠান। আমরা আমাদের সন্তানদের চাকরীর জন্য তৈরি করি। খেলাটাকে সময় নষ্ট বলে মনে করি। সময় এসেছে মানসিকতা বদলে ফেলার।’’

আরও খবর

সিন্ধু-সাক্ষী-দীপা-গোপীকে বিএমডব্লিউ-র চাবি তুলে দিলেন সচিন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন