ট্রফি ছুঁয়ে। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে আই লিগ তারকারা এক ফ্রেমে। ছবি প্রেম সিংহ
টানা সাত বার কলকাতা লিগ জিতেছেন।
ফেডারেশন কাপও আছে ক্যাবিনেটে।
এএফসি কাপ সেমিফাইনালও খেলা হয়ে গিয়েছে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে।
ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে আসার পর থেকে সব হলেও একটা স্বপ্ন অধরা থেকে গিয়েছে আজও। তা হল— আই লিগ।
প্রতিবারই যেন তীরে এসে তরি ডুবেছে। মরসুম শুরুর আশা বদলেছে হতাশায়। তাই এ বার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের মিডফিল্ড জেনারেল মেহতাব হোসেনের। আই লিগ না জিতলে ইস্টবেঙ্গল ছাড়বেন সংকল্প নিয়ে ফেলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীতে আই লিগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে মেহতাব বলেই দিলেন সে কথা। আই লিগের বাকি ক্লাবগুলো এই অনুষ্ঠানে তাদের অধিনায়ককে পাঠালেও ইস্টবেঙ্গল প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছিল মেহতাবকেই। কারণ তাদের অধিনায়ক রবার্ট বড়দিনের ছুটি কাটাতে বাড়ি গিয়েছেন। মেহতাব বলছিলেন, ‘‘আই লিগ জেতার কাছাকাছি এসেও ট্রফি জিততে পারছে না ইস্টবেঙ্গল। এ বারও আই লিগ জিততে না পারলে এটাই হয়তো ইস্টবেঙ্গলে আমার শেষ মরসুম।’’
লাল হলুদের মেহতাবের মতোই আই লিগে প্রতিবেশী চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের ফুটবলাররাও নিজেদের লক্ষ্য ঠিক করে নিয়েছেন। ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসে মোহনবাগানের জাপানি অধিনায়ক কাতসুমি বলছিলেন, ‘‘নতুন মরসুমেও আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলব আমরা। আমার মতে এ বার মোহনবাগানের দলটা গতবারের থেকেও শক্তিশালী।’’
কলকাতার দুই বড় ক্লাবের সঙ্গে গত বারের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু এফসির মহাতারকা সুনীল ছেত্রীও আগেভাগে সতর্কবার্তা ছুড়ে দিতে ভোলেননি। সুনীল বলছিলেন, ‘‘আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া কঠিন। কিন্তু আমরা লড়াইয়ে থাকব।’’
আবার ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার একান্ত ইচ্ছা, আই লিগ ও আইএসএল মিশে যাক। একটাই লিগ হোক ভারতে। ‘‘আমার আশা একটা লিগ হোক। আরও বেশি ম্যাচ খেলা হোক। অনেক দিন ধরে চলুক।’’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাশ ও প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল। কুশলবাবু জানান, অনূর্ধ্ব ১৩ ও অনূর্ধ্ব ১৮ জাতীয় ফুটবল হবে সামনের বছর থেকে। পাশাপাশি অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে ভারতীয় দল বর্তমান বেজিং সফরের পর যাবে রাশিয়া সফরে।