আতঙ্কিত চেলিনি।
জিওর্জিও চেলিনির মনে হচ্ছে, বার্সার ভয়ঙ্কর ফরোয়ার্ড লাইনকে আটকানো প্রায় অসম্ভব!
লিওনেল মেসি-নেইমার-লুই সুয়ারেজের বার্সেলোনাকে নিয়ে আতঙ্কে নিশ্চয়ই প্রতিপক্ষরা ভোগে। সম্মানও দেয়। কিন্তু আগেই ‘ওদের আটকানো অসম্ভব’ বোধহয় খুব একটা কাউকে বলতে শোনা যায়নি।
জিওর্জিও চেলিনি ছোটোখাটো ম্যাচে বার্সেলোনার মুখোমুখি হচ্ছেন না। হচ্ছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে! তার আগে মেসিদের নিয়ে এত কাঁপুনি কেন?
‘‘কারণ মার্ক করে মেসি, সুয়ারেজ, নেইমারকে আটকানো সম্ভব নয়,’’ পরিষ্কার ব্যাখ্যা জুভেন্তাসের তারকা ডিফেন্ডারের। আগামী ৬ জুন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে যে জুভেন্তাসের মুখোমুখি হচ্ছে বার্সেলোনা। ‘‘ওরা যে মানের ফুটবলার তাতে থামানো অসম্ভব মনে হতে পারে। আমরা ঠিক করছি, খেলাটাকে খুব ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করব। শুধু মেসি-সুয়ারেজদের নিয়ে ভাবলে তো চলবে না, ওদের গোটা টিমটাই দুর্দান্ত। সঙ্গে এমন তিন জন ফরোয়ার্ড আছে যারা যে কোনও সময় বিপক্ষকে ফালা ফালা করে চলে যেতে পারে। কিন্তু তাই বলে একেবারে আশা ছেড়ে দিচ্ছি না। আমাদের যা ক্ষমতা, তা দিয়ে ওদের চুপ করিয়ে রাখা সম্ভব।’’
জুভেন্তাস মিডফিল্ডার স্টেফানো স্টুরারোও বলার চেষ্টা করছেন যে, টিম মোটেও হীনমণ্যতায় ভুগবে না। মেসি-নেইমারদের বিরুদ্ধে জুভেন্তাসের অস্ত্র কী হতে যাচ্ছে, সেটাও বলে দেওয়া হচ্ছে। টিম স্পিরিট এবং সবার এককাট্টা থাকার মনোভাব। ‘‘আমরা যখন বার্লিনে ফাইনাল খেলতে নামছি, তার মানে নিশ্চয়ই এটা যে আমরাও বার্সেলোনার সমান টিম। এটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে ওরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা অনেক উন্নতি করেছি। বিশ্বের সেরা সব প্লেয়ার ওদের থাকতে পারে, কিন্তু আমরাও বহিরাগত নই,’’ বলে দিচ্ছেন স্টুরারো। সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘একটা ম্যাচ যখন, যে কোনও কিছু হয়ে যেতে পারে।’’ চেলিনি নিজেকে তাতাচ্ছেন, ছোটবেলার কথা ভেবে। ‘‘খুব ছোট থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বিখ্যাত গানটা শুনতাম। আর সেই মঞ্চে প্রথম বারের জন্য নামলে তো অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ এমনিই বেড়ে যাবে।’’
ইতালীয় ডিফেন্ডার আরও একটা কথা ভেবে স্বস্তি পেতে পারেন। বিশ্বকাপের পর এই প্রথম আবার তাঁর মাঠে দেখা হবে লুই সুয়ারেজের সঙ্গে। কিন্তু এ বার আর মার্ক করার দায়িত্ব থাকছে না। জুভেন্তাস বলেই দিচ্ছে, মেসি-সুয়ারেজদের মার্ক করে লাভ নেই। জিওর্জিও চেলিনিকে অন্তত এ বার সুয়ারেজের ‘কামড়’ খেতে হচ্ছে না!