লিগের আশা কার্যত শেষ লাল-হলুদের
Minerva Punjab

ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট নষ্টে অগ্নিগর্ভ বারাসত স্টেডিয়াম

অগ্নিগর্ভ বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গন। মিনার্ভা পঞ্জাব এফসি বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ শেষ হতেই উত্তেজনা ছড়ায় বারাসত স্টেডিয়ামে। কোচ-ফুটবলারদের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার এবং অ্যালভিটো ডি'কুনহার নামেও প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন সমর্থকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ ১৯:২১
Share:

ইস্টবেঙ্গলকে জয় এনে দিতে পারল না ডুডু-জবি জুটি। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

অগ্নিগর্ভ বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গন। মিনার্ভা পঞ্জাব এফসি বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ শেষ হতেই উত্তেজনা ছড়ায় বারাসত স্টেডিয়ামে। কোচ-ফুটবলারদের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার এবং অ্যালভিটো ডি'কুনহার নামেও প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন সমর্থকরা। প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঘেরাও করা হয় লাল-হলুদের টিম বাসকে। এ দিন আই লিগের দৌড়ে ভাল ভাবে টিকে থাকার জন্য মিনার্ভাকে হারাতেই হত ইস্টবেঙ্গলকে। কিন্তু হারানো তো দূরঅস্ত্ এই ম্যাচ ড্র করতেই কালঘাম ছুটে গেলডুডু-কাতসুমিদের।

Advertisement

বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গনে মাস্ট উইন ম্যাচে লাল-হলুদ ফুটবলারদের শরীরী ভাষা দেখে বোঝার উপায় ছিল না ম্যাচ জিততে মাঠে নেমেছেন তাঁরা। এমনিতেই চোটের কারণে আল আমনা না থাকায় শুরু থেকেই কিছুটা অবিন্যস্ত ছিল লাল-হলুদ মাঝমাঠ। লোবো-কাতসুমিরা থাকলেও মাঝমাঠের দখল পুরোপুরি নিজেদের হাতে আনতে ব্যর্থ হয় ইস্টবেঙ্গল।

এর সুযোগেহাইভোল্টেজ এই ম্যাচে বারবারই মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আক্রমণে উঠতে থাকে পঞ্জাবের দলটি। যার ফল ম্যাচের ২০ মিনিটে করা মিনার্ভার প্রথম গোল। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে গোল করে যান মিনার্ভার ডিফেন্ডার সুখদেব সিংহ।

Advertisement

সুখদেবের গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক বার কেঁপে ওঠে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। প্রতিআক্রমণ থেকে চকিতে গতি বাড়িয়ে ম্যাচের ৩৩মিনিটে গোল করে যান ভুটানি 'রোনাল্ডো'চেঞ্চো।

আরও পড়ুন: ম্যাচ রেফারির রিপোর্টে ‘খারাপ’ ওয়ান্ডারার্সের পিচ

পর পর দু'টি গোল হজম করে প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে প্রথম পরিবর্তন নেয় ইস্টবেঙ্গল। ৪৪ মিনিটে মেহতাব সিংহের পরিবর্তে আনসুমানা ক্রোমাকে মাঠে নামান খালিদ জামিল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে হলেও পরিবর্তন ছিল অর্থবহ। ক্রোমার নামার পর ম্যাচে কিছুটা ফেরার চেষ্টাও চালায় ইস্টবেঙ্গল।

রেফারি যদি সহায় থাকতেন তা হলে প্রথামর্ধেই একটি গোল পরিশোধ করতে পারত লাল-হলুদ। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময় বক্সের মধ্যে কাতসুমিকে অন্যায় ভাবে ফেলে দিলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি। নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করা হয় ইস্টবেঙ্গলকে। ফলে প্রথমার্ধে ২ গোলের লিড নিয়েই মাঠ ছাড়ে মিনার্ভা।

ম্যাচের শেষে হতাশ লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

আশা করা হয়েছিল মাস্ট উইন ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াবেন লাল-হলুদ জার্সিধারীরা। কিন্তু ম্যাচের ৫০ মিনিটে যে ভাবে শিশু সুলভ ভঙ্গিতে কাতসুমি ইউসা পেনাল্টি কিক মিনার্ভার গোলরক্ষক চেমজঙ্গের হাতে মারেন তা এক কথায় ক্ষমার অযোগ্য। পেনাল্টি মিস করলেও হাল ছাড়েনি ইস্টবেঙ্গল, লড়াই চালিয়ে যায় সমানে সমানে। আর এরই সুবাদে ৫৯ মিনিটে কাতসুমির কর্ণার থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান কমান জবি জাস্টিন।

এই ভাবেই কাতসুমির পেনাল্টি বাঁচালেন মিনার্ভা পঞ্জাবের গোলরক্ষক। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

প্রথম গোল পেয়ে আরও মরিয়া ওঠে ইস্টবেঙ্গল। তবে, বারবার প্রতিপক্ষ বক্সে গিয়েও প্রয়োজনীয় গোলটি তুলে আনতে পারছিলেন না ডুডুরা। তবে, গোল না পেলেও চেষ্টা চালাচ্ছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। আর এরই ফল, ম্যাচের অন্তিমলগ্নে ব্রেন্ডন ভানলালরেমডিকার গোলে সমতা ফিরিয়েই ম্যাচ শেষ করে ইস্টবেঙ্গল। ড্র করে ইস্টবেঙ্গল কার্যত কঠিন করে ফেলল চ্যাম্পিয়নশিপ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন