সফল: মনঃসংযোগ বাড়িয়েই ছন্দে ফিরেছেন মইন। ফাইল চিত্র
ক্রিকেটে মনঃসংযোগ বাড়াতে মইন আলি নিজের জীবন থেকে তাঁর মোবাইল ফোনকে আপাতত ছুটি দিয়েছেন! সে দেশের সংবাদমাধ্যমে তেমনই খবর। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নাকি নিজেকে অনেক দূরে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি, যার জেরে ব্যাটিং গভীরতাও বেড়েছে তাঁর। শুক্রবার ওভালে যে রকম ধীর-স্থির ভাবে ব্যাট করে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি, তা এরই প্রভাব বলে মনে করছেন অনেকে। ৩১ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডারের ব্যাটিংয়ে কখনও এত ধৈর্য আর মনঃসংযোগ নাকি দেখা যায়নি।
কিন্তু সত্যিই কি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় উপকার হয়েছে তাঁর? শুক্রবার খেলার পরে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে এই প্রশ্নই করা হয়েছিল। যার উত্তরে মইন বলেন, ‘‘আমার মনে হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় বড্ড বেশি মন দিয়ে ফেলেছি আমি। বাড়িতে বাচ্চারা আপনার সঙ্গে খেলতে চাইলে আপনি যদি ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তা হলে সেটা মোটেই ভাল হয় না। আমারই একবার এ রকম ঘটনা ঘটেছিল। তার পর আমি মোবাইল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। যদি এটা ছাড়াই বাঁচা যায়, তা হলে অসুবিধে কোথায়? আমার আসলে মোবাইলের নেশা হয়ে গিয়েছিল, বলতে পারেন।’’
মইনের ব্যাটে মাঝখানে রানের খরা দেখা যাচ্ছিল, তাঁর মনঃসংযোগ নষ্ট হওয়ার কারণে। শট বাছাইয়ে ভুল বা শট মারতে গিয়ে ভুল করছিলেন বারবার। তা ছাড়া ব্যাটিং অর্ডারে বারবার ওঠানামা করতে গিয়েও সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। কিন্তু এ ভাবেই নিজের সমস্যার সমাধান করেন মইন। কাউন্টি ক্রিকেটে উরস্টারশায়ারের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি পান এর জেরেই। তার পরই তাঁকে ইংল্যান্ড দলে ডাকা হয়। মইন বলেন, ‘‘যে জায়গাতেই ব্যাট করি না কেন, সেখানে আমাকে পরিবেশ, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হবে। তাই আগের চেয়ে একটু অন্য ভাবে নিজেকে প্রস্তুত করি নতুন বলের বিরুদ্ধে। বলের লাইনে গিয়ে খেলার চেষ্টা করি। বল বেশ নড়াচড়া করছিল। যা শুধু ছোঁয়ানোর পক্ষে ততটা পারদর্শী হয়তো নই আমি। চায়ের বিরতিতে সতীর্থরা আমাকে জেফ্রি বয়কট বলে ডাকতে শুরু করে।’’