মহমেডানকে আটকেও অবনমন আতঙ্ক সুভাষের। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
মহমেডান-১ (দীপেন্দু) : টালিগঞ্জ-১(ইমরান)
মোহনবাগানের থেকে পয়েন্ট পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এ বার মহমেডানের থেকেও পয়েন্ট ‘তুলে’ নিল টালিগঞ্জ অগ্রগামী।
মহমেডান ১-০ এগিয়ে গিয়েছিল। তার পর যে ভাবে তারা গোল হজম করে ১-১ করল তা নিয়ে জোর গুঞ্জন সর্বত্র। সবথেকে যেটা মজার, এর পর কেউ গোল করার চেষ্টাও করলেন না। নিট ফল, দু’পয়েন্ট হারিয়ে লিগ দৌড় থেকে কার্যত ছিটকে গেল মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহমেডান। ইস্টবেঙ্গলের থেকে সাত পয়েন্ট পিছিয়ে পড়ে লিগ জেতা প্রায় অসম্ভব তাদের।
ম্যাচ সম্প্রচার হচ্ছে লিগের। বড় সুযোগ, নিজেদের তুলে ধরার। কিন্তু কোথায় কী? দীপেন্দু দুয়ারির দুর্দান্ত গোল হল। কর্নার থেকে টালিগঞ্জের ইমরান খান সমতায় ফেরালেন। তার পর শুধুই ছেলেখেলা। পাড়ার ফুটবলের চেয়েও খারাপ। হাস্যকর ভাবে মহমেডান কোচ দলের নিয়মিত অজয় সিংহকে বসিয়ে নামালেন মানস সরকারকে। যাঁর না আছে ম্যাচ ফিটনেস, না নড়াচড়া করার ক্ষমতা। ‘‘মানস লম্বা, তাই ওকে নামিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুই করতে পারল না,’’ বললেন মহমেডান কোচ।
টিম জিততে না পারলে যা হয়, সবই হল। সমর্থকরা অকথ্য গালিগালাজ করলেন। কর্তারা অভিযোগের আঙুল তুললেন রেফারির দিকে। আর মৃদুল বলেই দিলেন, ‘‘আমি কোনও দিন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নামিনি। লিগ টেবলের একটা ভাল জায়গায় থাকতে চেয়েছিলাম।’’
টালিগঞ্জের ‘ভাগ্য’ সত্যিই ভাল। মোহনবাগানের সঙ্গে ১-৩ হেরেও নিয়মভঙ্গের গেরোয় তাদের ঘরে পয়েন্ট আসছে। আবার গত ম্যাচে ৭ গোলে জেতা মহমেডানের থেকেও সুভাষ ভৌমিকের ঘরে এল পয়েন্ট। জোড়া বড় দলের পয়েন্ট পাওয়ার পর তা হলে অবনমনের হাত থেকে বাঁচতে পারবে টালিগঞ্জ? ‘‘জানি না। আমার দলের কাজ এখন পয়েন্ট তুলে যাওয়া। আমার ভাঙাচোরা দল লড়াই করে যাচ্ছে। এটাই আমার কাছে অনেক।’’ সুভাষের মুখ গম্ভীর হলেও পয়েন্ট টেবলে টালিগঞ্জ চার পয়েন্ট নীচে নবম স্থানে থাকা কালীঘাট এমএসের থেকে। বাগান ম্যাচের পয়েন্ট বাদ দিয়ে এই হিসাব।