চলছে লোনস্টার কাশ্মীর বনাম পিফা স্পোর্টসের খেলা। ছবি: দিব্যেন্দু দাস।
আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের গণ্ডি পেরোনর আশা ক্রমশ ক্ষীণতর হচ্ছে বাংলার। শনিবার সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ফের হারল মহমেডান। বিকেলে রানিডাঙায় এসএসবি ময়দানে হারল ইউনাইটেড এফসিও। মহমেডান তাও জেতার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। ইউনাইটেডের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ৫টি গোল হজম করতে বাধ্য হন তাঁরা। এ দিন হেরেই রেফারিকে দুষলেন মহমেডান কোচ অনন্ত ঘোষ। নায্য গোল, অফিস বাতিল করেছেন রেফারি বলে দাবি করেন কোচ অনন্তবাবু। ক্ষুব্ধ অনন্তবাবু এআইএফএফ-এর কাছে রেফারিং নিয়ে অভিযোগ করবেন বলে জানান। যদিও তাঁর সঙ্গে একমত নন ক্লাব কর্তা তথা দলের সহকারী ম্যানেজার বিলাল আহমেদ খান। তিনি দলের হারে ক্ষুব্ধ। তবে রেফারিকেই শুধুমাত্র কাঠগড়়ায় তুলতে চান না। পাশাপাশি একাধিক সুযোগ নষ্ট করার দায় খেলোয়াড়়দের উপরেই চাপিয়েছেন। অন্যদিকে ইউনাইটেডের হারের জন্য কোনও অজুহাতই খাড়়া করতে পারেননি টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে খেলোয়াড়়রা।আপাতত দুটি দলই তিন ম্যাচে একটি করে জয় নিয়ে মহমেডান কোচ ম্যাচ শেষে হতাশা চেপে রাখেননি। খেলার ১০ মিনিটের মাথায় রাকেশ মাসির করা গোল অফসাইড বলে বাতিল হয়ে যায়। অনন্তবাবুর দাবি, ‘‘ওটি কোনও মতেই অফসাইড নয়।’’ ওটি গোল হলে পরে আইজল এফসি আর ম্যাচে ফিরতে পারত না বলে তিনি মনে করছেন।’’ তবে পরে গোলরক্ষককে একা পেয়েও ড্যানিয়েল বিদেমির বাইরে মারার কোনও অজুহাত তাঁর কাছে ছিল না। অসীম, আদিলেজা, ইমরান, বসন্তরা প্রধমার্ধে বারবার গোলমুখে গিয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধে খেলার রাশ ক্রমশঃই নিজেদের হাতে নিতে থাকে আইজলের দলটি। এই দলটির সবচেয়ে বড়় শক্তি হল অফুরন্ত দম এবং গতি। প্রথমার্ধে ইচ্ছে করেই খেলাটা বুঝতে কম দৌড়়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানান আইজলের কোচ বীরবল সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘আমার খেলাটা বোঝার চেষ্টা করেছি। দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেদের বলি, ওরা লম্বা পাস খেলছে। সেটা আটকাতে হবে। তাতেই কাজ হয়।মহমেডান আমাদের সঙ্গে দৌড়়ে পারবে না। তবে ৬৯ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকায় চাপে ছিলেন, তবে আশা ছাড়়েননি। প্রথমার্ধের ৩৯ মিনিটে অসীম বিশ্বাস গোল পেয়ে যান। ৬৯ মিনিটে রহিম থাঙ্গা আইজলের হয়ে গোল শোধ করেন। তার ১১ মিনিট পরেই মরগান জাস্টিসকে বক্সে ফাউল করে বসেন মহমেডানের এক ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে গোল করেন লালরোজামা। এরপরেও কয়েকটা সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগেনি।