গোলের পর ডিকাকে শুভেচ্ছা মোহনবাগান অধিনায়ক সনি নর্দের। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
অপ্রতিরোধ্য পাল তোলা নৌকো। রবিবার বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গনে চার্চিল ব্রাদার্সকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিল সঞ্জয় সেন অ্যান্ড ব্রিগেড। শনিবার এই মাঠেই শিলং লাজং এফসিকে ৫-১ গোলে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আজ যেন তারই অ্যাকশন রিপ্লে দেখিয়ে গেল মোহনবাগানও। ইস্টবেঙ্গল এক গোল হজম করলেও মোহনবাগান কোনও গোল হজম না করেই জিতল।
রবিবারের বৃষ্টি ভেজা দুপুরে এ দিন মোহন-চার্চিল দৈরথ দেখতে মাঠে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রচুর সংখ্যক মানুষ। শুধু বারাসতের সবুজ-মেরুন সমর্থকরাই নন, প্রিয় দলের সমর্থনে কলকাতাসহ বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ ঢল নেমেছিল এ দিন স্টেডিয়ামে। সেই সমর্থকদের সমর্থকদের হতাশ করেননি ক্রোমা-ডিকারা।
ম্যাচের ২২ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে প্রথম গোল করেন আনসুমানা ক্রোমা। চার্চিলের ডিফেন্সের ভুলের সুযোগ নিয়ে ফৈয়াজের পাসে ১৮ গজ দূর থেকে গোল করে যান লাইবেরিয়ার মিডফিল্ডার। ক্রোমার গোলের ১০ মিনিটের মধ্যে লিগে প্রথম গোল করে বাগানের পক্ষে ব্যবধান ২-০ করেন ডিপান্ডা ডিকা। মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো সনির পাস জালে জড়াতে ভুল করেননি গত বারের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
আরও পড়ুন: ৭ উইকেটে হেরে ওয়ান ডে সিরিজ শুরু ভারতের
আরও পড়ুন: সবরমতী নদীতে পাওয়া গেল বুমরাহর দাদুর দেহ
প্রথমার্ধে ২ গোলের লিড নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর গোলের খিদেটা যেন আরও বেড়ে গিয়েছিল মোহনবাগানের। আর এতেই দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামতেই ফের এক বার চার্চিল রক্ষণকে কাঁপিয়ে দিয়ে গোল করে যান রজার মিল্লার দেশের ডিকা। ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করায় মানসিকভাবেও কিছুটা পিছিয়েই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করেছিল চার্চিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তিন নম্বর গোলটি হজম করে ম্যাচের হাল কার্যত ছেড়ে দেয় গোয়ার ফুটবল ক্লাবটি। আর এর সুযোগেই আরও দু’টি গোল করে যায় মোহনবাগান।
এই ভাবেই বারবার ডিকার সামনে বিপর্যস্ত হতে হয় চার্চিল ডিফেন্ডারদের। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
ডিকার গোলের চার মিনিটের মধ্যেই বাগানের হয়ে আই লিগে প্রথম গোল করে দলের লিড ৪-০ করেন শেখ ফৈয়াজ। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে আলেমাও চার্চিলের দলের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন হাইতিয়ান ম্যাজিশিয়ান সনি নর্দে। এ দিনের ম্যাচের সেরা ডিপান্ডা ডিকা।
চার্চিলের বিরুদ্ধে জয়ের ফলে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এল মোহনবাগান।